Answered 3 years ago
দেখুন ভাই ৫০ বছর আগে যে পরিমাণ সোনা দিয়ে যে পরিমাণ জায়গা কিনা যেত আজও সেই পরিমাণ সোনা দিয়ে সেই পরিমাণ জায়গা কিনা যাবে।
কিন্তু ৫০ বছর আগে যে পরিমাণ টাকা দিয়ে যে পরিমাণ জায়গা কিনা যেত আজ তা কোনভাবেই সম্ভব না।
এটা কি সত্য নয়?? যাস্ট এই জিনিসটা বুঝবেন পুরো ব্যাপারটা ওরা ইচ্ছা করেই জটিল করেছে যাতে ওদের প্রতারণা বুঝতে না পারেন।
এই কাগজের টাকাটা ছড়িয়েছে পশ্চিমারা। এর ইতিহাস লিখতে গেলে ঘন্টার ঘন্টা সময় লাগবে।
আপনাকে যদি বলি সরকার কি ইচ্ছামত টাকা চাপাতে পারবে? আপনি উত্তর দিবেন। না। কিন্তু এটা ভুল উত্তর। সরকার যত ইচ্ছা তত টাকা চাপাতে পারে তবে হট করে বেশি চাপালে টেগেল দেয়া সম্ভব না তাই একটা নির্দিষ্ট গতিতে চাপাচ্ছে। কিন্তু এর আগের টাকাগুলোও দেশেই থাকছে, ফলে টাকার পরিমান বাড়ছেই।
এখন প্রশ্ন হল এই যে নতুন টাকা কি বিদেশে দেয়া যাবে? পদ্মাসেতুর জন্য বিদেশি শ্রমিকদের দিলেই ত হয়। না, হবে না কারন আমাদের টাকা তাদের দেশে চলবে না, ঘুরে ফিরে আমাদের দেশেই আসবে।
এখন দেখুন আপনার ব্যাংকের টাকা কিভাবে চুরি হচ্ছে। ধরুন সারাবাংলাদেশে ৫০ টি তরমুজ আছে। আর সারা বাংলাদেশে টাকার পরিমান ১০০ টাকা। তখন তরমুজের পিচ ২ টাকা করে। আর সে সময় আপনি ২ টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছিলেন।
এখন কিছুদিন পর দেখলেন বাংলাদেশে টাকার পরিমান ১০০০ হয়ে গেল তাহলে প্রতি তরমুজ হবে ২০ টাকা। এখন গিয়ে ব্যাংক থেকে আপনার ২ টাকা নিয়ে আসলেন। আপনি মনে মনে বললেন ব্যাংক কত ভাল, আমার এক টাকাও কমায় নি। কিন্তু আসলেই আপনার টাকা কমেছে। তা বুঝতে পারে না ৯৮% লোক।
তাই মুসলিম ও মুসলিম সবাইকে বলি ব্যাংকে টাকা রাখবেন না। দরকার হয় সোনা বা জায়গা কিনে রাখেন তাহলে আপনার সম্পদ সরকার চুরি করতে পারবে না। গবাদি পশু বা এরকম অন্যান্য জিনিসও কিনে রাখতে পারেন।
মুসলিম ত সুদ খাবেই না, আবার অমুসলিমদেরও বুঝা উচিত আপনার সামান্য পরিমানেও লাভ হবে না। কারন যে হারে সুদ পারেন, চেক করে দেখে নিয়েন সেই হারেই আপনার টাকার মান কমছে। লাস্টে ফলাফল শুণ্য। এর চেয়ে ভাল জমি কিনেন। তারপরে সেগুলো কৃষক বা অন্যভাবে ভাড়া দেন। তখন প্রতি মাসে ভাড়ার লাভও আসবে, আর ২০ বছর পর ২ লাখ টাকার জমি ১০ লাখ টাকা বেচতে পারবেন।
আশাকরি আমার কথাটা গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর আমার কথায় যদি আমার প্রতি সামান্যও বিশ্বাস আসে তাহলে একটাই অনুরোধ যাস্ট একটাই অনুরোধ । এই কোরানটা একবার দেখে নিবেন। এটা আসলেই মানুষের বানানো নয়। এখানে পরকালের ভয়াবহতা সত্য হবেই, যাতে আপনার ক্ষতি না হয়। পুরো বইটা পড়লে সেখানে কিছু আশ্চর্য নিয়ম পাবেন যা সত্য। এর মধ্যে একটা হল স্রষ্টাকে ডাকলে স্রষ্টা সাড়া দেয়। আপনি যদি বলেন যে আমাকে বানিয়েছো আমাকে সাড়া দাও তাহলে কি অদ্ভুত ভাবে সাড়া পাবেন দেখে নিয়েন। এর আরেকটি কথাও সত্য তা নিজের চোখেই দেখলাম সেটা হল অনেকের অন্তরে মোহর থাকার কারনে কথা শোনবে না, মানে শোনবে ঠিকই গবাদি পশুর সাথে তুলনা দিয়ে বলা হয়েছে। কেন এর উত্তরে দেখি এরা অহংকারী, সত্যপ্রত্যাক্ষানকারি prv & 222। আরও আপনার মনের ভিতরে থাকা প্রশ্নের উত্তর পাবেন সেখানে। মন্তব্যও করতে পারেন সন্দেহ অবকাশের জন্য তিরস্কারের জন্য নয়।
mrgroot publisher