বেশিরভাগ ছেলেদের পড়াশুনা শেষ করে, চাকরিপেয়ে, বিয়ে করতে বয়স ৩০ পার হয়ে যায়। এই সময়টাতে একজন ছেলে কীভাবে তার শারীরিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করবে?

1 Answers   12 K

Answered 2 years ago

একজন মুসলিম হিসেবে এর বিকল্প কোনো পথ নেই ১০০% সত্য । আপনাকে সহ্য করেই থাকতে হবে । কারণ ভালো করেই জানেন ইসলাম আমাদের সমাজে প্রচলিত নিম্নোক্ত জনপ্রিয় কাজগুলোকে ১০০% নিষেধ করেছে, যেমনঃ

    হস্তমৈথুন করে যৌন চাহিদা মেটানো ।
    বিবাহবহির্ভূত প্রেম করে সহবাস বা যৌনচাহিদা মেটানো।
    পতিতালয়ে যাওয়া ।

তাহলে আপনার উপায় কি একটানা ১৫/২০ বছর যৌন চাহিদা না মিটিয়ে থাকার ???

আসলেই কোনো উপায় নেই । পাপ আপনাকে করতেই হবে যদি ৩০ এর আগে যৌন চাহিদা মেটাতে চান । আর পাপের পরিণাম কি তাতো পাগলেও জানে, তাহলেতো সেটাও করা সম্ভব হচ্ছে না । তাহলে উপায় কি ভাই ???

হ্যাঁ, উপায় তো আছেই, অনেক উপায় আছে । তাহলে কি সেটা ?? সেটা হচ্ছে আপনাকে বা আপনার পরিবারকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনার যৌবন বয়স এখন চলছে সুতরাং এখনি বিয়ে করা দরকার, পরে নয় !!! যখন চাকরি বা ক্যারিয়ার গড়তে হবে তখন সেটাও করে নিবেন সমস্যা কি ?? এক কথায় যে সময়ে যা করা দরকার তাই করবেন যদি পাপের ভয় থাকে, আর পাপের ভয় না থাকলে তো প্রশ্নই করতেন না নিশ্চয়ই ।

এখন আসেন মূল কথায়,

বেকার বয়সে বিয়ে করলে স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিবেন কিভাবে তাইতো ?? তাহলে বছরের পর বছর আপনার ৪/৫ টা বা ১ টাই গার্লফ্রেন্ডকে ভরণপোষণ দিচ্ছেন কিভাবে ?? সরি!! আপনারাতো নিজ নিজ পরিবারের থেকে টাকা নেন তাইতো ?? তাহলে আপনাদের প্রেম করার জন্য টাকা নিতে পারলে বিয়ের পর প্রেম করার জন্য টাকা নিতে পারবেন না কেন ?? ও.. বাবা মা দিবে না তাইতো ??

সত্যি বলতে, সমাজটা এত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে যে আমাদের বাবা মা গুলোও সমাজের সাথে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে । ইউরোপ আমেরিকার সমাজের সাথে আমাদের সমাজের আর খুব বেশি পার্থক্য নেই ।

আমাদের বাবা মা আমাদেরকে ৮/১০ টা ব্যয়বহুল অবৈধ সম্পর্ক করতে দিতেও রাজি তাতে আমাদের পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার গোছাতে খুব একটা সমস্যা হবে তা মনেই করেন না কিন্তু একটা ছোট খাটো বিয়ে করে দিতেই রাজি না, তাতে নাকি তাদের সংসারো ধ্বংস হয়, ছেলের লাইফো ধ্বংস হয় অথচ হাজার হাজার ছেলে মেয়ে অবৈধ সম্পর্কের ফাঁদে পড়ে নেশাগ্রস্ত হচ্ছে, গুন্ডা মাস্তান হচ্ছে, সুইসাইড করছে আরো যে কত কি করছে তার হিসেব সবারই জানা। ফলস্বরূপ ধ্বংস হচ্ছে তার নিজের মূল্যবান , পরিবার, পুরো দেশ ও একটি জাতি অথচ কারো সেদিকে দৃষ্টিপাত যেন একদমই নেই । নাহ! দৃষ্টিপাত ঠিকই আছে, নেই শুধু পাপবোধ টাই । কথায় আছে, দশজনে করে যাহা আমিও করিবো তাহা । অর্থাৎ সবাই যে পাপ করছে তারাও সেই পাপ করতে ভয় পাচ্ছেন না অথচ এতটুকুই জ্ঞান জাগ্রত নেই যে যার যার হিসাব তাকেই দিতে হবে । একজন সন্তানের পাপের বোঝা যে তার পিতা-মাতাকে বহন করতে হবে যদি তারা সেই পাপ থেকে সন্তানকে বাঁধা বা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিত্রাণ না দেন, এই সামান্য হুশটুকুও যেন নেই । হুঁশ ঠিকই আছে তবে বুঝেও না বোঝার ভান করে চলে । হাজারো হলেও আদরের সন্তান । সন্তানের করা পাপের বোঝা নিজে বহন করে জাহান্নামে যেতে রাজি তবুও সন্তানের দুনিয়াবি সুখ বা সম্পদের আশায় গড়া ক্যারিয়ার ভিন্ন ভাবে গড়তে দিতে রাজি নন ।

অথচ যদি একজন ছেলের ও মেয়ের পরিবার শুধু এটা বুঝতো যে, আমার ছেলের স্ত্রীকে আমি আমার মেয়ের মতোই সামান্য হলেও ভরণপোষণ দিয়ে বা না দিয়ে শুধু মাত্র স্নেহ মমতা দিয়ে তাদের বাকি পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার গড়তে সহযোগিতা করি তাহলে একসাথে ২ টা ক্যারিয়ার গড়ে উঠবে যা আজীবন আমার ঘরেই থাকবে অন্যের ঘরে তো যাবে না ।

অপর দিকে মেয়ের পরিবারো যদি বেশি লোভ না করে নিজের পছন্দ মত বা মেয়ের পছন্দ মত ভালো গুণাবলী সম্পন্ন ছেলেকে মেয়ে জামাই হিসেবে গ্রহণ করে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বা মানসিক সাহায্য সহযোগিতা করতো তাহলে একজন প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল খুব সহজেই পাপ মুক্ত ভাবে ও মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারতো ।

তবে পারিবারিক কিছু ঝগড়া ঝামেলা সবসময় সব অবস্থাতেই হয়, হবে এবং তার সমাধানো আছে সুতরাং সেটা বড় অন্তরায় নয় ।

একজন পুরুষ কারো পিতা কারো শশুর আবার একজন নারী কারো মা কারো শাশুড়ি, তাহলে তারা যদি শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব টা পালন করতেন উপরোক্ত নিয়মে তাহলে কতই না সুন্দর হতো একজন ছেলে ও মেয়ের জীবন, কতই না বিশুদ্ধ হতো একটি সমাজ ও জাতি ।

তবে এটা ভাবিয়েন না যে একরকম ইসলামিক মাইন্ডের পরিবার একটাও নাই, অনেক আছে অসংখ্য আছে, বলতে পারেন আমি নিজেও এমন পরিবারের সদস্য যদিও আমার বা আমার স্ত্রীর পরিবারের কেউ মৌলবী, মাওলানা নয় । আমি অত্যন্ত গরীব পরিবারের ছেলে এবং আমার স্ত্রী মাশাআল্লাহ একটু ধনী পরিবারেরই মেয়ে । যদিও আমরা অল্প কিছুদিন অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক করেছি কিন্তু পরে আমাদেরকে বিয়ে করতে বাধ্য করায় এই বলে যে, তোমরা যে যার মত পড়াশোনা করতেছো করো, পড়াশোনার খরচ আগের মতই দেয়া হবে নিজ নিজ পরিবার থেকে তবুও বিয়ে করো নয়তো সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করো । তো সেভাবেই চলছে….. আলহামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি সুখে আছি পড়াশোনাও করতিছি মাশাআল্লাহ ।

আজকে আর বেশি কিছু না বলি । ধন্যবাদ

Rofikul Islam
rofikulislam
317 Points

Popular Questions