Answered 3 years ago
বাংলাদেশি সেকেন্ড হ্যান্ড আর বিদেশি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপের মধ্যে তফাৎ অনেক। সাধারণত বিদেশি ল্যাপটপ গুলো অনেক বেশি ফ্রেশ কন্ডিশনে আসে আর বিক্রেতারা এগুলো সিংগাপুর, মালোয়শিয়া, চায়না এসব দেশের ডিলারের থেকে কিনে আনেন।
ডিলাররা ল্যাপটপ গুলো ছাড়ার আগে সেগুলোর কোনো রিপেয়ার করা লাগলে করে দেয় এবং তাদের টেস্টে পাশ করা ল্যাপটপ গুলোই তারা ছাড়ে। এজন্য এসব ল্যাপটপের দাম নতুন ল্যাপটপের দামের কাছাকাছি থাকে। কিন্তু এগুলো এতোই ফ্রেশ থাকে যে দেখে নতুন না ব্যবহৃত তা ধরতেই পারবেন না।
বিদেশি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপের গ্রেড আছে। সর্বোচ্চ গ্রেডের গুলো কেনা উচিত। কিভাবে বুঝবেন? বুঝার উপায় হলো বডিতে কোনো মেজর ডেন্ট বা স্ক্র্যাচ থাকবেনা। মডেল খুব বেশি পুরোনো হবেনা, কিবোর্ডের কি গুলোর রং নতুনের মতোই থাকবে, ট্র্যাকপ্যাড ক্লিন থাকবে এবং কোনো মার্ক থাকবেনা, ডিসপ্লেতে কোনো দাগ থাকবেনা, পাওয়ার এডাপ্টারটি আসল হবে।
দেখে শুনে কিনতে পারলে এই ল্যাপটপ গুলো অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। তাই কেনার আগে সবকিছু যাচাই করে নেবেন আর ভুলেও ওয়ারেন্টির উপরে ভরসা করবেন না। দেশি বিক্রেতারা আপনাকে একটা বিদেশি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি কিভাবে দিবে? তারা কাস্টমার বুঝ দেয়ার জন্য নিজে থেকেই একটা ওয়ারেন্টি দিয়ে দেয় কিন্তু যখন কেউ ক্লেইম করতে যায় তখন টিনের চশমা লাগিয়ে বলে, "ভাই আপনি কে?"
শেষকথা একটাই, সেকেন্ডহ্যান্ড মানেই খারাপ না। একই ল্যাপটপ ফ্রেশ অবস্থায় যদি বেশ কিছু খরচ বাঁচিয়ে কিনতে পারেন তাহলে আপনারই লাভ। তবে অনলাইনে অর্ডার করবেন না। সময় নিয়ে শপে গিয়ে ভালোমতো যাচাই করে এবং দামাদামি করে তারপর কিনবেন।
afrojasultana publisher