Answered 2 years ago
আপনার অর্থের মালিক আপনি এখানে তার কোনো মতামত থাকার কথা নয় যদি না -
১. বিয়ের সময় যদি যৌতুক নিয়ে থাকেন তাহলে কথা আপনাকে সারা জীবন শুনতে হবে। এটা মেনে নিয়ে সংসার করুন। যেদিন যৌতুক নিয়েছেন সেদিনই আপনাকে কিনে নেয়া হয়েছে, মানতে কষ্ট হলেও এটাই সত্য।
২. স্ত্রীর উপার্জনের অর্থও আপনি কি খরচ করেন? তাহলে সে সম্পূর্ন অধিকার রাখে জানতে চাওয়ার।
৩. আপনি কি বেহিসাবী খরচ করেন? তাহলে সেটাও একটা কারণ হতে পারে।
৪. স্বামী/ বাবা হিসেবে আপনি আপনার পরিবারের প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে উদাসীন হলে তিনি এরূপ করতে পারেন। ভেবে দেখুন আপনার স্ত্রী - সন্তানেরা পুরোপুরি ভাবে আপনার উপর নির্ভরশীল।
৫. আবার অনেক পরিবারে ছেলের সংসার থেকে মেয়ের সংসারকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দেখা যায় ছেলে হয়ত দিন রাত এক করে পরিশ্রম করে উপার্জন করেন কিন্তু মা/ বাবা বরাবর মেয়ের দিকে বেশি দুর্বল। আপনি সন্তান/ ভাই হিসেবে মেনে নিলেও আপনার স্ত্রী কোনো দিনই সেটা মেনে নিবেন না।
৬. আপনার স্ত্রীর হয়ত ধারণা হতে পারে যে, আপনার ইনকামের সব অর্থ ও সম্পদ তার। অথবা তার বান্ধুবী এবং অন্যান্য নারীদের স্বামীর সাথে তুলনা করে এমন করতে পারে।
৭. আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে আপনার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করেন না এবং এই বিষয়ে উনি আপনাকে ভরসা করতে পারেন না।
৮. আপনি নিজের অবস্থান শক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন এইজন্যও হতে পারে। যেমন হয়ত আপনার নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি আপনি নিজেই আস্থা রাখেন না এবং যে কারো কথায় সহজেই প্রভাবিত হয়ে যান।
৯. আপনার বাবা - মা হয়ত আপনাকে তুলনা করেন অন্যদের সাথে। সন্তান হিসেবে আপনার কিছু মনে না হলেও এটাও কিন্তু একজন স্ত্রী/ স্বামীর ভালো লাগবে না।
১০. উনি হয়ত কোনোভাবে কারো কথায় প্ররোচিত হয়েছেন, এজন্য এই আচরণ করেন।
মোট কথা আবেগ ও বিবেকের মধ্যে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিবেন। আর যার হক যতটুকু তাকে ততটুকু দিবেন।
এতে মানসিক ও শারীরিক শান্তি পাবেন সাথে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে স্থিতি আসবে।
dorududdin publisher