Answered 2 years ago
জানাবো তবে নাম পরিচয় সব গোপন রেখেই। নইলে বন্ধুবান্ধবদের কাছে উপহাসের শেষ থাকবে না।
ঘটনাটা ঘটেছে দুই বছর আগে আমার দাদুর বাড়িতে। প্রথমে বাড়ির বর্ননা দিয়ে দিই। আমার দাদুর বাড়ি বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে এক প্রত্যন্তগ্রামে (নামটা জানাচ্ছি না)। গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাড়ি বলতে আক্ষরিক অর্থে যা বোঝায় সেটাও একদম সেরকমই। খড়ের চালের মাটির বাড়ি, একপাশে রান্নার ও ভাঁড়ার ঘর, সামনে উঠোন চারদিকে প্রায় ৭-৮ ফুট উঁচু পাঁচিল। পাঁচিল পেড়িয়ে বাড়ির আঙিনাতে ঢোকার জন্য সামনে সদর দরজা ও পিছনে খিড়কির দরজা। বাড়ির পিছনে খিড়কির দরজার একপাশে একটা পচা ডোবা ও বাঁশবাগান আছে। আর এই ডোবার জন্যই যত কিছু।
আমার বয়স তখন ১৭ বছর। বাবা মায়ের সাথেই দাদুর বাড়িতে গেছিলাম। তো একদিন দিনের বেলায় কিছু করার ছিল না বলে একটা বল নিয়ে বাড়ির পিছনের দিকে মামার সাথে ক্যাচ ক্যাচ খেলছিলাম (আমার মামা আমার থেকে মাত্র ২ বছরের বড় অর্থাৎ প্রায় সমবয়সীই বলা চলে)। হঠাৎই বলটা একটু জোরে ছোঁড়ার ফলে বলটা পাঁচিল পেরিয়ে সোজা পড়ল ডোবাতে। খিড়কির দরজা দিয়ে বেড়িয়ে দেখি বলটা ডোবাতে কচুরিপানার মধ্যে আটকে আছে তবে পাড় থেকে কিছুটা দূরে। গ্রামের মানুষরা একটু শুচিবায়ুগ্রস্থ হয়। যেহেতু ডোবাটা খুবই নোংরা তাই তাতে পরা জিনিস তুললে জামাকাপড় ছেড়ে স্নান করে তবে ঘরে ঢুকতে পারবে এরকম নিয়ম। যেহেতু মামার স্নান আগে হয়ে গেছিল তাই ঠিক হল আমি বল তুলে স্নান করে নেব। তাই জামাকাপড় ছেড়ে একটা গামছা জড়িয়ে স্নানের জন্য প্রস্তুত হয়েই বল তুলতে গেলাম। পাড়ে দাঁড়িয়ে একটা লাঠি দিয়ে বলটাকে নাগালের মধ্যে আনার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু কিছুতেই আসছিল না। পাড় থেকে একটু একটু করে এগিয়ে শরীরটাকে যতটা সম্ভব সামনে ঝুঁকিয়ে বলটাকে সামনে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি এমন সময় পা পিছলে পড়ি সোজা ডোবাতে।
ডোবাটা ছিল বেশ গভীর আর তাতে জল ছিল কম ও পাঁক ছিল বেশি। তাই আমি যতই হাত পা ছুঁড়তে থাকি ততই নীচে নেমে যেতে থাকি। আমার ওই অবস্থা থেকে মামা নিজের হাত বাড়িয়ে আমায় ধরার চেষ্টা করে। চেঁচামেচি শুনে বাড়ির ভেতর থেকে বাবা, মা, দাদু, দিদা সবাই ছুটে বেড়িয়ে আসে। মামা কোনওরকমে আমার হাতটা ধরতে পারে ও হাত ধরেই টেনে ওপরে তোলে।
তবে এই হাত পা ছোঁড়াছুঁড়ি আর টানাটানির মধ্যেই কখন যে আমার আলগা করে জড়ানো গামছাটা ডোবার মধ্যেই খুলে পাকের মধ্যে হারিয়ে গেছে আমি বুঝতে পারিনি। সম্পুর্ন নগ্ন হয়েই উপরে উঠে আসি। আমি ভয়ে তখন থরথর করে কাঁপছিলাম। গায়ে পোশাক আছে না নেই সেদিকে তাকানোর অবস্থায় ছিলাম না। বাড়ির লোক যদিও দেখেছে তবে তারাও সেদিকে নজর দেওয়ার পরিস্থিতিতে ছিল না। তারা আমায় ধরে খিড়কির দরজা দিয়ে ভেতরে নিয়ে আসে (সাধারনত ডোবা বা নোংরা কিছু ঘাঁটলে পুকুরে স্নান করে তবেই ভেতরে যাওয়া যায় তবে যেহেতু আমি সম্পুর্ন উলঙ্গ তাই আমায় ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়)। আমি তখন এক ট্রমার মধ্যে ছিলাম। আমি যে কোমরের নিচ থেকে সম্পুর্ন উলঙ্গ সেদিকে কোনও খেয়াল ছিলনা। এমনকি আমার বাড়ির লোকও আমায় ওই অবস্থায় দেখলেও আমায় ঢাকার কথা তাদের মাথাতেও আসেনি। আমি তখন মাথা থেকে পা অবধি কাদা, নোংরা, পাঁক মেখে ভুতের মত হয়ে গেছি। তাই আমার বাবা পাঁচিলের দিকে এক কোনে নর্দমার পাশে আমায় দাঁড় করিয়ে গায়ে মগে করে বালতি থেকে জল নিয়ে গায়ে ঢেলে পাঁক পরিষ্কার করতে থাকে। আমি যে সম্পুর্ন উলঙ্গ সেদিকে যেন কারোর খেয়ালই ছিল না এমনকি আমিও বুঝতে পারিনি। কিছুটা জল ঢেলে সাবান ঘষতে লাগল। বুকে পেটে পিঠে সাবান ঘষার পরে যখন পাছায় সাবান লাগাচ্ছে তখনই গন্ডগোল লাগতে শুরু করে (কারন গামছার ওপর দিয়ে স্পর্শ এবং সরাসরি স্পর্শ দুটোই আলাদা আর তাছাড়া বাবা দুই পাছার ফাঁক দিয়ে ভেতরেও সাবান দিচ্ছিল)। তারপর যখন সামনে পুরুষাঙ্গে হাত দিয়ে সাবান লাগাতে থাকল তখন বুঝলাম। কিন্তু ততক্ষনে বাবা সেখানে সাবান লাগাতে শুরু করে দিয়েছে আর তাছাড়া তখন ভয়ের চোটে নিজের স্নায়ুর ওপর কোনও নিয়ন্ত্রন ছিল না। শরীরে এতটুকু জোর ছিল না যে হাত দিয়ে পেনিস ঢাকব। কিছুটা প্যারালেসিস রোগীর মতই অবস্থা হয়ে গেছিল যেন।
ধীরে ধীরে বাবা সারা শরীরে সাবান লাগিয়ে স্নান করিয়ে দিয়ে অন্য একটি গামছা দিয়ে গা মুছিয়ে দিল। তার পরে সেই গামছা কোমরে জড়িয়ে দিল। তবে তখন আর জড়িয়ে লাভ ছিল না কারন ততক্ষন বাড়ির সকলেই মানে মা, দাদু, দিদা, মামা সবাই সামনে পেছনের যতটুকু দেখার নয় সেই সবটুকু দেখে নিয়েছে তবে কেউ কোনও বিরূপ মন্তব্য করেনি। সেদিন সন্ধ্যে অবধি টানা ঘুম দিয়ে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। যতক্ষনে আমি ধাতস্থ হই ততক্ষনে গায়ে জামাপ্যান্ট রয়েছে। তবে পরে সবাই যখন বলি যে আমায় ওই অবস্থায় দেখেও কেন কেউ ঢেকে দেয়নি তখন বলে যে তখন পাঁকে ভরা শরীরে গামছা জড়ালে পরিষ্কার করা যেত না আর তখন কারোর মানসিকতাও ছিল না যে আমায় ঢাকবে। আর তাছাড়া সেখানে সবাই নিজের লোক ছিল যারা ছোটবেলায় বহুবার আমায় নগ্ন দেখেছে তাই তাদের সামনে লজ্জা পাওয়ার কিছু ছিল না। কথাটা কিছুটা ঠিক বললেও ১৭ বছর বয়সে সবার সামনে নগ্ন হওয়াটা বেশ লজ্জাজনকই লাগে।
riakhatun publisher