Answered 3 years ago
বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে আমরা মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু - ১’ সফলভাবে পাঠিয়েছি। আমাদের জন্য বিরাট এক গর্বের ব্যাপার যে আমরা নিঃসন্দেহে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে এমন বড় বড় দেশের ক্লাবে নিজেদের নাম উঠিয়েছি। মোটামুটি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই ৫৭ দেশের মধ্যে অধিকাংশ দেশই একের অধিক বিভিন্ন ধরণের স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আছে - আবহাওয়া স্যাটেলাইট, পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট ইত্যাদি। আমাদের বিএস-ওয়ান হল যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট।
কোন সাতটি তথ্য জানা উচিত সেটা উল্লেখ করে বলতে পারছিনা তবে মোটামুটি যেসব তথ্য আমাদের জানা থাকা উচিত ঃ
১. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বা সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করা হয় টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সুবিধার জন্য। যেখানে এসব পৌছায় নি সেসব জায়গায় এ স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিশ্চিত হতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ।
দুর্যোগের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে, সেখানে যোগাযোগ সচল রাখতে স্যাটেলাইট কাজে লাগবে।
২. মূলত টিভি চ্যানেলগুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ। এর সাহায্যে চালু করা যাবে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস।
৩. স্যাটেলাইটের সাহায্যে দুর্যোগ পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম তথ্য জানা এবং সে অনুযায়ী দুর্যোগের মোকাবিলা এবং ব্যবস্থাপনা করা যাবে।
৪. স্যাটেলাইটের যে সক্ষমতা সেটা ব্যবহার করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং আয় দুটাই করতে পারি।
৫. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান ১১৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমার কক্ষপথে। এর ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত।
শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কাভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
৬. রাশিয়ার কাছ থেকে অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে, এবং এটার স্থায়িত্ব ১৫ বছর। ওজন ৩.৭ টন। এটি উৎক্ষেপণ হয়েছে ফ্লোরিডার লঞ্চপ্যাড থেকে।
৭. বিএস-ওয়ান স্যাটেলাইটটির ডিজাইন এবং তৈরি করা হয়েছে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেসে। যে রকেটের সাহায্যে এটিকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটি বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এলন মাস্ক’এর স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পোরেশন যাকে আমরা সংক্ষেপে স্পেস এক্স নামে চিনি ।
৮. উৎক্ষেপণের প্রথম ৩ বছর ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়ার সাহায্যে এটির দেখভাল করবে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে পুরোপুরি বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের হাতেই গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়া আর্থ স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে এটি।
afrojasultana publisher