Answered 3 years ago
একটি সদ্য স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শেখ মুজিবকে সীমাহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ, দারিদ্র্য দূরীকরণ চ্যালেঞ্জ, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মোড়লদেশ সমূহ কর্তৃক স্বীকৃতি আদায়ের চ্যালেঞ্জ প্রভৃতি। এই চ্যালেঞ্জ সমূহ মোকাবেলা করতে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আগে কখনো দায়িত্ব পালন না করা মুজিবকে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় ( স্বাধীনতার বহু আগে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রীসভায় মাত্র তিন মাসের জন্য তরুণ মুজিব পরিবেশ ও বন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন)। যেটা আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে জানতে পারি।
আর এটাও সত্য তার নিজ দল আওয়ামীলীগের ও রক্ষীবাহিনীর বিভিন্ন পদের ব্যাক্তিবর্গও নানান লুটপাট ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন; যার চূড়ান্ত দায়ভার মুজিবের উপরই পড়ে। একারণে দেশের উল্লেখযোগ্য অংশের মানুষ শেখ মুজিবের শাসনামলে মুজিববিরোধী হয়ে পড়েন৷ আর আমাদের বাম রাজনীতিকদের বাড়াবাড়িও ছিলো তখন চোখে পড়ার মতো। তারা গণবাহিনী গঠন করে দেশব্যাপী শেখ মুজিব বিরোধী নানান দ্ধংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। আর সেনাবাহিনীর একাংশও ছিলেন মুজিববিরোধী। উল্লেখিত ঘটনাবলীর চূড়ান্ত পরিণতি ছিলো মুজিব হত্যাকান্ড।
তবে মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর কিছু লোকের মিষ্টি বিতরণের ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। যেমন অবকাশ রয়েছে মুজিবপুত্র শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা নিয়ে। কারণ একজন দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী প্রেসিডেন্ট পুত্রের অর্থ ইনকামের নানান সুযোগ থাকে, তাকে ব্যাংক ডাকাতির মতো ঝুকিপূর্ণ অপরাধে জড়িত হতে হয়না। তাই শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাও বিরোধীদের সস্তা অপপ্রচার।
তেমনি মুজিব হত্যার পর কিছু মানুষ যদিও মিষ্টি বিতরণ করেও থাকে তবে তারা পাকিস্তানপন্থী মুসলিম লীগার বা রাজাকার আলবদর ছাড়া আর কেউ হতে পারেন না। এটা একজন ইতিহাস সচেতন মানুষ হিসেবে আমার ব্যাক্তিগত মূল্যায়ন।
Sagor Ahmed publisher