ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা আবশ্যকীয়?

1 Answers   6.5 K

Answered 3 years ago

না, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইংরেজি কথা বলার দক্ষতা আবশ্যক নয়, একদমই নয়!
কিন্তু, ইংরেজিতে ম্যাসেজ আদান প্রদান করার দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে।

যারা ভাবছেন আমি রসিকতা করছি, তাদের বলছি, না ভাই, এটা রসিকতা নয়, বরং সত্য!
ইংরেজিতে লেখা আর কথা বলার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে!

যেমন ধরুন, আমি প্রথম দিকে ন্যাটিভদের সাথে প্রযেক্ট সংক্রান্ত প্রচুর ইংরেজিতে চ্যাট করেছি। কিন্তু, হঠাত করে একদিন যখন জুম মিটিং এ বসলাম, তখন বুঝলাম তাদের ইংরেজি বোঝার যোগ্যতা আমার নাই! কেমন জানি জড়িয়ে কথা বলে, বেশিরভাগ শব্দই বুঝি নাহ!

খুবই সমস্যায় পড়তে হতো সে সময়!
পরে ধীরে ধীরে সে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছি।

কথা বলা আর চ্যাট করার বিস্তর ফারাক এখানেই।
আপনার যদি সাধারণ চ্যাটিং এর দক্ষতা থাকে তাহলে তো কোন সমস্যাই নাই।
আপনি খুব সহজেই তার সকল কথা বুঝবেন।

কেননা, মার্কেটপ্লেস গুলোতে আমাদেরকে চ্যাট করতে হয়, বায়ার চাইলেই মার্কেটপ্লেসে আপনাকে কল করতে পারবে না!

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ইংরেজি কেন দরকার?

এটা জিজ্ঞাসা করতেই পারেন যে, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ইংরেজি এর দরকার কেন? বা এদের মধ্যে সম্পর্ক টা ঠিক কি?

আসলে, আপনি আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করি, তারা বেশিরভাগ সময় USA, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানী সহ বিভিন্ন দেশে কাজ করে থাকি।
তাদের সবার অবশ্যই আলাদা মাতৃভাষা রয়েছে।
ব্যাপার হচ্ছে, তার সাথে কাজ করতে গেলে আমার তো তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে নাকি?

আমি যদি তার কথা নাই বুঝি, তাহলে কিভাবে তার কাজ সঠিক ভাবে করে দিব বলুন তো?
তাহলে, তার সাথে যোগাযোগ করা আমার খুবই দরকার।

এখন, আমি তো আলাদা আলাদা ভাবে সবার মাতৃভাষা শিখে তাদের সাথে কথা বলতে যাব না! আবার সেটা সম্ভবও নয়!
এত এত ভাষা আপনি কিভাবে মুখস্ত করবেন?

এর থেকে বরং একটা আদর্শ ভাষা শিখে তাই দিয়ে কাজ করাটা উত্তম নয় কি?

ঠিক এই কারনেই ইংরেজি শিখতে হয়।
কেননা, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে সবাই কিন্তু এটা পারে।
তাই এটা শিখে নিলে আপনার ক্ষতি কি…?

এবার প্রশ্ন আসতে পারে, আমি তো খুব ভালো ইংরেজি পারি না। এখন আমি কি করতে পারি?
এই বিষয়ে আমার YouTube Channel এ আমি একটি ভিডিও আপলোড করেছি।
আপনারা যে কেউ এই সিস্টেম গুলো ফলো করলে বেশ দ্রুত ইংরেজি শিখে নিতে পারবেন।

যদি চ্যাট করতে পারলেই হয়ে যায়, তাহলে আমি কেন জুমে কথা বলি?

আমি প্রথমেই বলেছি, আমি জুমে কথা বলতে গিয়ে বুঝেছি আমার দুর্বলতা কোথায়।
Even, আমি এখনো জুমে মিটিং শেষ করে এই উত্তর দিচ্ছি।
আবার আমিই আগে বলেছি যে, বায়ারের সাথে চ্যাট করলেই হয়ে যা, কথা বলা লাগে না।
তাহলে আমি কেন বলি…?

দেখুন, আমি মার্কেটপ্লেসে যে কাজ করি তা কিন্তু চ্যাটের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
কেননা, ফাইবারে কল করারা কোন সিস্টেম নাই।

কিন্তু, আমি মার্কেটপ্লেসের বাইরে যে কাজ করি, সেই গুলো সরাসরি হোয়াটসএপ বা জুম বা গুগল মিটের মাধ্যমে করে থাকি।
এগুলোর মাধ্যমে কাজ করি না, কিন্তু কথা বলি।

আসলে টাইপ করে কিছু বোঝানোর থেকে জুমে স্ক্রিন শেয়ার দিয়ে বোঝানো অনেক সহজ।
আবার লেখার থেকে কথা বলতে সময় কম লাগে।
এতে করে আমিও খুশি, ক্লায়েন্টও খুশি।

মূলত এই কারনেই আমি বাইরেও কথা বলি।
তবে হ্যাঁ, তারা কিন্তু মার্কেটপ্লেসের বাইরের বায়ার, বা মার্কেটপ্লেসকে লিড জেনারেশন টুল হিসাবে ব্যাবহার করে তাদেরকে বাইরে নিয়ে এসে কাজ করি।

সতর্কবার্তাঃ নতুন হয়ে থাকলে বায়ারকে মার্কেটপ্লেসের বাইরে আনার চেষ্টা করবেন না, একাউন্ট ব্যান খাবেন কিন্তু বলে রাখলাম। অভিজ্ঞতার সাথে সাথে এসব বিষয় অবশ্যই রপ্ত করতে পারবেন।

Trycia Towne
oishe
366 Points

Popular Questions