Answered 2 years ago
আলহামদুলিল্লাহ্, এটা একেবারে আমার জন্য প্রশ্ন। আমার অন্যান্য উত্তর সবই দেখা ও শোনা কথা। সেগুলো কোনটাই আমার জীবনে ঘটেনি। তবে, এই প্রশ্নের বিষয়টি একেবারে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা।
আদর্শ দেশ কাকে বলে, সেটা জানতে গেলে এই দুটি দেশ দেখতে হবে। কোন অভিযোগই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
নিউজিল্যান্ড দেশটি আয়তনে বেশ ছোট, বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। নিউজিল্যান্ডে ৮ টি বিশ্ববদ্যালয় আছে। অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দেশ, আয়তনে অন্তত বাংলাদেশের ৫০টির সমান। অস্ট্রেলিয়াতে ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ব্যাপারটা কিছুটা ভারত ও নেপালের মতন। নেপালকে যেমন ভারতের অংশ বলে ভুল হয়। ঠিক তেমনই নিউজিল্যান্ডকে অস্ট্রেলিয়ার অংশ বলে ভুল হয়।
মজার ব্যাপার - অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে কেউই ডিগ্রী নিতে যায় না। সবাই সেই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে যায়। লেখাপড়া শেষ করার পরে, ওই দেশ দুটিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ আছে। সেজন্যই মানুষ ওখানে লেখাপড়া করে। এক কথায় - দুটো দেশেই মানুষ নামমাত্র লেখাপড়া করে, স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। অতএব - দুই দেশের কোন দেশে লেখাপড়া ভালো, সেটার তুলনা করে কোন লাভ নেই।
স্থায়ী বসবাসের ব্যাপারে, এই দুটি দেশের তুলনা করা যায়। প্রথমেই বলেছি, দুটি দেশ প্রায় একই রকম। পার্থক্য খুবই সামান্য। অস্ট্রেলিয়া বড় দেশ বলেই, সেখানে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে সবকিছু বেশী ; সূযোগ সুবিধা বেশী। তাছাড়া, অস্ট্রেলিয়াতে চাকরীর বেতন বেশী, আবার নিউজিল্যান্ডে জিনিসপত্রের দাম বেশী। এই কারনে, অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করাটা নিউজিল্যান্ডের চেয়ে সুবিধাজনক। মনে রাখবেন - পার্থক্যটা খুবই সামান্য।
বোনাসঃ
এতক্ষন যা লিখেছি, সেগুলো অনেকেই জানেন। এবার দুটি অজানা কথা বলবো।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অনেক বড় পার্থক্য হলো - সমাজ। যদি কোন অপরাধী আইনের মারপ্যাঁচে বেঁচে যায়, তাহলে সে অস্ট্রেলিয়ার সমাজে বুক ফুলিয়ে চলতে পারবে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। আসলে তেমন ঘটনা ঘটে না। দুই দেশের মানুষের মানসিকতার পার্থক্য বোঝাতে উদাহরন দিয়েছি।
কেউ যদি অতি জ্ঞানী হয়, তাহলে এই দুই দেশে নিজেকে অনুপযুক্ত মনে হবে। এই দুইটি হলো দক্ষ মানুষের দেশ। যে যত দক্ষ, সে তত সফল। জ্ঞান জিনিসটা কেউ বোঝেই না।
Khaled publisher