Answered 3 years ago
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, আমি কোরআনকে আরবি ভাষায় নাজিল করেছি যাতে তোমরা সহজেই বুঝতে পারো। (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ২) বিশ্বাস করুন, আরবি ভাষার চেয়ে সহজ কোনো ভাষা পৃথিবীতে নেই। এই ভাষা শেখা খুবই সহজ। এই কারণেই সারা পৃথিবীর মুসলিমরা খুব সহজেই আরবি ভাষায় লিখিত কোরআন শিখতে পেরেছন। আরবি ভাষাতে সহজেই বিজ্ঞান ও শিল্পের প্রয়োজনে নতুন নতুন শব্দ ও পরিভাষা তৈরি করা যেত এবং আজও তা করা যায়।
মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন: ‘তিন কারণে তোমরা আরবিকে ভালোবাসো; যেহেতু আমি আরবি, কোরআন আরবি এবং জান্নাতের ভাষাও হবে আরবি।’ (বুখারি)। সর্বশেষ আসমানি কিতাব ফুরকান বা কোরআন আরবি ভাষায় সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রতি নাজিল করা হয়েছে।
এই ভাষা এমন একটি ভাষা যেখানে আপনি ব্যাকরণের কিছু নিয়ম মুখস্থ করলে একটি শব্দ দিয়ে কয়েকশ শব্দ তৈরি করতে পারবেন। আর কারণগুলো মুখস্থ করাও খুবই সহজ। এটা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীও সহজেই মুখস্থ করতে পারবেন। আর আরবি ভাষার প্রতিটি মূল শব্দই ক্রিয়া পদ। এগুলো সূত্রের (ব্যাকরণের) মাধ্যমে বিভিন্ন পদে রূপান্তরিত হয়। আরবির মূল শব্দ সংখ্যা দুই হাজারের বেশি হবে না। তাই আপনি মাত্র দুই হাজার শব্দ মুখস্থ করে এবং ব্যাকরণ শিখে অনায়াসেই আরবিতে কথা বলতে পারবেন। এ জন্য আপনাকে পুরোপুরি আরবি বলতে চাইলে মাত্র এক বছর সময় লাগতে পারে।
আরেকটি বিষয়, আমরা বিশেষকরে বাঙালি এবং মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার লোকজন অনেক আরবি শব্দ ব্যবহার করে থাকি। তাই যখন আপনি আরবি শিখতে যাবেন দেখবেন বেশিরভাগ শব্দই আপনি জানেন।
rionahmed publisher