Answered 2 years ago
আগের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থা এখন পাহাড়ে। তবে শান্তি চুক্তিতে ত্রুটি আছে। সে সময়ে সেনাবাহিনীর সাথে শান্তিবাহিনীর যুদ্ধের ফলে উভয়পক্ষে মানুষ মারা যাচ্ছিল, পাহাড়ে উন্নয়ন কাজ করা যাচ্ছিল না, প্রায় রোজই অপহরণ, গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া, যুদ্ধ হচ্ছিল সে পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার চুক্তিতে কিছু ছাড় দেয়, কিছু বিষয় অস্পষ্ট রেখে চুক্তি স্বাক্ষর করে। একটি ছাড় হচ্ছেঃ পাহাড়িরা চাইলে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় জমি কিনতে পারবেন। কিন্তু বাঙালিরা চাইলেও তিন পার্বত্য জেলায় জমি কিনতে পারবেন না। আবার অস্পষ্ট রাখার জায়গাটি হল, পাহাড়ি জেলাগুলোতে এখনও প্লটভিত্তিক জমির জরিপ হয়নি।এর ফলে বিএস খতিয়ান তৈরি ক্রয়া যাচ্ছে না। কারণ পাহাড়িরা মনে করে এভাবে ম্যাপ করে জমির মালিকানা নির্ধারণ করা তাদের কালচারের সাথে সাংঘর্ষিক। তারা হিসেব করে এমনঃ অমুক পাহাড় আমার বাপদাদা ভোগ করে আসছে, সুতরাং এটা আমার। এ বিষয়ে ল্যান্ড কমিশন হয়েছে। কিন্তু এই ল্যান্ড কমিশন কোন সুরাহায় আসতে পারছে না। তাই চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করা যাচ্ছে না। তবে, এর পরেও, এই চুক্তি আওয়ামিলীগের একটা বড় সাফল্য। বিশেষ করে শেখ মুজিব সাহেব যেভাবে পাহাড়িদেরকে বাঙালি হইয়া যা বলে ডায়লগ মেরেছিলেন, সেই পজিশন থেকে সরে এসে তার মেয়ে যে একটা সমাধান বের করেছেন এটা আসলেই একটা ইতিবাচক পরিবর্তন।
kaziatik publisher