পরীক্ষার দেড় মাস আগে পড়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত এবং কয় ঘন্টা পড়া উচিত বলে মনে করেন?

1 Answers   6.9 K

Answered 2 years ago

    রিভিশন: পড়া হয়তো আগেই গোছানো ছিল। এবার সেগুলো এমনভাবে রিভাইস দিতে হবে, যাতে পড়াটা মুখস্থ‌ও হয় আর পরীক্ষার হলেও গ‌ড়গড় করে (গড়গড় মানে গড়গড়! একটুও তোতলানো যাবে না)। প্রয়োজনে খাতায় কিছুক্ষণ পর পর বার বার মুখস্ত করে না দেখে লেখা যায়(Dummy test)।।।।। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়।
    টেস্ট: যা পড়া হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে টেস্ট পেপার সলভ করা। এজন্য আগে থেকেই নির্দিষ্ট টপিকের উপর প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে। আবার মূল্যায়নের জন্য উত্তরপত্রের উত্তরের সাথে মিলিয়ে কিংবা অন্য কারোর সহযোগিতায় নিজের প্রস্তুতি আরো মজবুত করা যায়।
    ফ্লিপড ক্লাসরুম মডেল অনুসরণ: অনেকের স্কুল/কলেজে নিয়মিত ক্লাস করতে হয়। তারা চাইলে এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ক্লাসে যাওয়ার পূর্বেই, সেখানে যা পড়ানো হবে, সেই নির্দিষ্ট টপিকের উপর পড়াশোনা করা, তাতে কোনো প্রশ্ন থাকলে নোটডাউন করে রাখতে হয়। তারপর ক্লাসে গিয়ে উক্ত টপিকটির লেকচার শোনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ টপিক লিখে রাখা, নোট করা প্রশ্নগুলোর স্বচ্ছ উত্তর জেনে নেওয়া, সহপাঠীদের সঙ্গে একসাথে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌গ্রুপ স্টাডি/টিম ওয়ার্ক করতে হয়। এরপর, ফিনিশিং টাচ, বাসায় এসে উক্ত টপিকের উপর দেওয়া কাজ সম্পন্ন করা, লিখে রাখা নোট গুলো পুনরায় রিভিশন করতে হয়।
    নিজের খেয়াল রাখা: নিজের স্বাস্থ্য‌ই যদি ঠিক না থাকে, তবে পড়ায় নিয়মিত মনোযোগ ধরে রাখবেন কীভাবে? পরীক্ষার দেড় মাস কী দেড় বছর, যাই হোক! স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমানো, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম প্রভৃতি সুস্বাস্থ্যের জন্য দায়ী। সকালে বেশি করে পানি ‌‌‌‌‌পান করা যেতে পারে। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক,,, সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারাটা পরবর্তীতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
    নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানা: উপরোক্ত টিপসগুলোতে 'করা যায়', 'করতে পারেন',,, ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জোর করে কাউকে দিয়ে কিছু করানো যায় না। এজন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিটাই ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌আসল! আমি কে? আমার উদ্দেশ্য কী? আমার লক্ষ্য কী? পরবর্তীতে আমি নিজেকে কোথায় দেখতে চাই?,,,, ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর নিজের মনের মধ্যে যদি আগে থেকেই ঠিক করা থাকে (আরো ভালো হয় ডায়রিতে সেগুলো লিখে রাখলে), তবে ধরা-বাধা রুটিন না করেও নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো যায়। কারণ আমি নিশ্চয়ই জানি, আমি কেন, কীসের নেশায় পড়াশোনা করছি।।।

Saker
Saker
463 Points

Popular Questions