Answered 2 years ago
আচ্ছা, নারীরা পুরুষের শস্যক্ষেত্র, একথা বলার অনেক যুক্তি আছে। এই কথা নিয়ে কত নাস্তিক, ফেমিনিস্টের হেডএক হয়ে গেছে, তাহলে এর আসল কারণটাই আমি বলি:
সূরা আল বাকারা ২২৩ এ বলা আছে:
نِسَآؤُکُمۡ حَرۡثٌ لَّکُمۡ
অর্থ: তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র
এখন "ফসলক্ষেত্র" বলতে আপনি মনে করছেন, বিবাহের পর স্ত্রীকে নিজের মতো চড় থাপ্পড় দাও, রক্তাক্ত করো, মানসিক কষ্ট দাও, এগুলো???
"ফসলক্ষেত্র" বলতে আদৌ এটা মনে করছেন?
যদি মনে করে থাকেন, তাহলে আপনি বরঞ্চ ভুল করছেন।
আল্লাহ তা'আলা যদি আমাদের বলেন যে আমাদের স্ত্রী আমাদের শস্যক্ষেত্র, একথাটা সঠিক। কারণ আমাদের স্ত্রী যদি অন্যায়-অধর্মের কাজে লিপ্ত হয়, মিথ্যা কথা বলে, অন্যকে নিয়ে অপবাদ করে, অন্যের দোষ-ত্রুটি ধরে, তাহলে আমরা স্বামীরা যতই আল্লাহর খাঁটি বান্দা হই না কেন, পরকালে আমাদের স্ত্রীদের এসব অপকর্মের জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।
বিয়ে শুধুমাত্র ইনিয়ে-বিনিয়ে ভালোবাসার কথা বললেই চলবে না, এটা এমন ভালোবাসা যে স্ত্রীর অপকর্মের জন্য আমাদেরকেই জবাবদিহি হতে হবে। কারণ আমরা তাদের এত এত ভালোবাসি যে আমরা তাদেরকে কাছে পেতে চাই, তাদের সাথে হৃদয়ের কথা শেয়ার করি, তাহলে যেখানে আমাদের রক্তের পরিশুদ্ধ বন্ধন গড়ছে, আর আমরা এতটা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দিচ্ছি, যার ফলে তাদের অন্যায়ের ভার কিন্তু পরকালে আমরাই নিবো। আমরা যদি অন্যায় করি, তাহলে সেই দোষটা আমরাই পাবো কিন্তু আমাদের স্ত্রীদের সেটার জন্য পরকালে জবাবদিহি হবেন না। তবে আমরা যদি অন্যায় না-ও করি কিন্তু স্ত্রী স্বাধীনমতো অন্যায় করছে, সেটার ভার কিন্তু পরকালে রেজুরেকশনে নিতে হবে।
তাই "স্ত্রীরা স্বামীর শস্যক্ষেত্র" এটা নেগেটিভভাব নেওয়া বন্ধ করুন। এটাকে রোম্যান্টিক আর ধর্মীয় চিন্তাধারা ভাবুন। ধন্যবাদ।
belaluddin publisher