Answered 2 years ago
আমি সাধারণত ধর্ম বিষয়ক প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকি। এই প্রশ্নটি যেহেতু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে করা হয়েছে, এবং যদি কখনো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধে তাহলে যেহেতু বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সেটার সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত থাকবে তাই কিছু না লিখে পারলাম না। তাছাড়া প্রশ্নটি যেধরনের মানসিকতার ইঙ্গিত দেয়, সেটি মানব সভ্যতার জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই কেন জানি মনে হলো ব্যাপারটি পরিষ্কার করা উচিত।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টারডিগ্রেডের মতো কিছু এক্সট্রিমোফাইল এবং কিছু ব্যাকটেরিয়া ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। এটা সপ্তম শতাব্দী নয়। শুধু আমেরিকার কাছে যে পরিমাণ পারমাণবিক অস্র আছে সেটা দিয়েই পৃথিবীকে কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে। লিটল বয় ছিল মাত্র ১৫ হাজার টিএনটি আর ফ্যাটম্যান ছিল মাত্র ২০ হাজার টিএনটি'র বোমা। এই দুটো বোমা নাগাসাকি আর হিরোশিমা শহরকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। প্রায় ১০ লক্ষ টিএনটি'তে হয় ১ মেগা টিএনটি। ১৯৬১ সালে রাশিয়া কর্তৃক টেস্ট করা Tsar Bomba ছিল ১০০ মেগা টিএনটি'র বোমা, যদিও টেস্টের আগে সেটাকে মডিফাই করে ৫০ মেগাটনে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এরকম ওয়ারহেড পরাশক্তিগুলোর কাছে আরো আছে। একবার বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেলে প্রত্যেকটি পারমানবিক শক্তিধর দেশ তাদের বোমাগুলো ব্যাবহার করবে। সবগুলো বোমা ফাটানোর দরকার নেই। Tsar বোমার মতো শ'খানেক বোমা ফাটালেই অন্ধকারাচ্ছন্ন নিউক্লিয়ার উইন্টার নেমে আসবে এবং এই পৃথিবীতে ফটোসিনথেসিস বন্ধ হয়ে যাবে। তখন সব খেলা খতম হয়ে যাবে। ফলস্বরূপ মানুষ নামক পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্টতম প্রজাতির জীবের অস্তিত্বের অবসান ঘটবে।
তাই এসব যুদ্ধ বিগ্রহ কামনা না করে শান্তি কামনা করুন। নিজে শান্তিতে থাকুন এবং অন্যকেও শান্তিতে থাকতে উৎসাহিত করুন।
rashedrahaman publisher