Answered 2 years ago
রাজনীতিতে ডানপন্থা বা ডানপন্থী বিশেষণ ব্যবহৃত হয় এমন মতাদর্শের ক্ষেত্রে, যা মানুষের অর্থনৈতিক বা ঐতিহ্যগত বা সামাজিক শ্রেণীগত বিভেদ বা ধাপ বিন্যাসকে সমর্থন করে। একেক ডানপন্থী রাজনৈতিক দল বিভিন্ন মাত্রায় বামপন্থী রাজনীতি সমর্থিত সাম্যবাদের বিরোধিতা করে থাকে এবং সার্বিক সাম্য চাপিয়ে দেওয়াকে সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর বলে মনে করে থাকে।
ফরাসি বিপ্লবের সময় যারা সংসদের ডানদিকে বসেছিল এবং যারা রাজতান্ত্রিক পুরানো শাসন বা প্রাচীন শাসনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করেছিল তাদেরকে ডানপন্থী (Right-wing) বলা হত। এদের প্রাচীন শাসনের আমূল পরিবর্তনের প্রতি বিরোধিতা এবং ঐতিহ্যগত সমাজ রক্ষার আকাঙ্ক্ষা ছিল। ঐতিহ্য, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম এবং অর্থনীতির বেসরকারিকরণ ডানপন্থীদের মূল মূল্যবোধ হিসেবে বিবেচিত হত।
প্রচলিত সমাজ, ধর্ম এবং নিয়মের অনুকুলে রাজনীতি হচ্ছে 'ডানপন্থী" রাজনীতি। ডানপন্থী রাজনীতি কর্তৃত্ব, শ্রেণিবিন্যাস, ঐতিহ্য এবং জাতীয়তাবাদের ধারণা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
এই মতাদর্শের লোকেরা ধর্মীয় নিয়ম ও বিধিবিধানকে আদর্শ হিসাবে ধরে রাজনৈতিক কলাকৌশল পালন করা। ডানপন্থীদের সবকিছুতেই ধর্মের নিয়ম কানুন মুখ্য হয়ে থাকে।
বামপন্থী রাজনীতি (Left-wing politics) হল প্রচলিত ধর্ম, সমাজ ও গতানুগতিক বিধি বিধানের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করা। বামপন্থী রাজনীতির বৈশিষ্ট্য হল সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, অগ্রগতি এবং সংস্কারের উপর জোর দেওয়া।
বামপন্থীদের আদর্শিক ভিত্তি অনুযায়ী ধর্ম এবং রাজনীতি দুইটি আলাদা বিষয়। সুতরাং তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধর্মকে আলাদা রাখে, ধর্মীয় বিষয়কে তারা প্রশ্রয় দিতে আগ্রহী নয়। সমাজতন্ত্রী ও প্রগতিশীলদেরই এখন সাধারণভাবে বামপন্থী বলা হয়।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া এবং আজহার একাডেমি ।
Azhar Ali publisher