Answered 3 years ago
বিখ্যাত সাহাবি আবু মূসা আশ‘আরী (রা.) রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন,
إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَحَلَّ لِإِنَاثِ أُمَّتِى الْحَرِيرَ وَالذَّهَبَ وَحَرَّمَهُ عَلَى ذُكُورِهَا
‘আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতের নারীদের জন্য রেশম ও স্বর্ণ হালাল করেছেন এবং পুরুষদের জন্য হারাম করেছেন’। (নাসাঈ হা/৫২৬৫, সনদ ছহীহ)।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলেন, স্বর্ণ একটি স্বয়ংক্রিয় ধাতু, যার বিষাক্ত দূষনীয় প্রভাবের প্রতিরোধ ক্ষমতা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের দেহে বেশী । তাই ছেলেরা স্বর্ণ ব্যবহার করলে তাদের স্বাস্থ্যে এক বিশেষ ক্ষতি (যৌন শক্তি হ্রাস পায়) হয় । কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে উক্ত বিষাক্ত প্রভাব কোন ক্ষতি করতে পারে না । বরং মেয়েরা স্বর্ণের প্রতি আকৃষ্ট হলে তাদের যৌন শক্তির অস্বাভাবিক উগ্রতা কমে গিয়ে সবসময় স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে । অর্থাৎ স্বর্ণ মেয়েদের যৌন শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে ।
হজরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, স্বর্ণ ও রেশম ব্যবহার আমার উম্মতের পুরুষদের ওপর হারাম করা হয়েছে। সামরিক ও বেসামরিক উভয় প্রকারের লোকদের বেলায়ও প্রযোজ্য। (আবু দাউদ,ইবনে মাজা)।
পুরুষের জন্য স্বর্ণ হারাম নারীর জন্য নয়। কেননা আলী ইবনু আবুতালিব (রা.) বলেন, আমাকে রাসূল (সা.) স্বর্ণের আংটি পরতে, রেশমী পোশাক পরতে, রুকু ও সিজদায় কোরআনের আয়াত পরতে এবং হলুদ রং এর পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে তিরমিযী, হা- ১৩/১৭৩৭)
azim publisher