Answered 3 years ago
এটি আপনার স্থান এবং সময়কালের উপর নির্ভর করছে। আপনি কোথায় থাকেন তবে জানিনা তবে আপনি আগে আপনার চাহিদার কি তার উপর নজর দিন। চাহিদা বলতে বুঝাচ্ছে আপনার নিকটবর্তী কাছাকাছি এমন কোন স্থানের পন্যের চাহিদা যেখানে যে জিনিসটির চাহিদা সবচেয়ে বেশি বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী শহর। আপনি ৩ টি ধাপ এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং সর্বশেষ লাভজনক কিছু পন্যের নাম উল্লেখ করেছি যার ব্যবসা করতে পারেন৷
প্রথমত চাহিদা নির্ধারিত হয়ে গেল এবার দেখুন আপনার নির্ধারিত চাহিদাসম্পন্ন অর্থাৎ যে পন্যটি সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে মানুষের কাছে সেই সকল পণ্যের একটি তালিকা তৈরি করুন, সেটি বিভিন্ন মুদি মালামাল বা উৎপাদনশীল পন্য হতে পারে৷
২য়ত এবার, দেখুন এই সকল পণ্য ক্রয় বা উৎপাদন করে আপনি বিক্রি করার মতন ক্ষমতা অর্থাৎ মূলধন বা পুজি আপনার রয়েছে কিনা, ব্যাস আপনার মূলধন এবং পুঁজিও তৈরি এবং কি কি পণ্য বা কি জিনিস আপনি উৎপাদন করবেন সে বিষয়টিও আপনি তৈরি হয়ে গেলেন
৩য়ত এবার পুজি ও তৈরী আর পন্য কি বেচবেন বা উৎপাদন করবেন সেটি ও তৈরী। এখন এর পাশাপাশি যে ব্যবসায় বা উৎপাদন করবেন সেটির জন্য কারিগরি বা জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে সেটি করুন।
৩টি ধাপ পেরোনো মানে আপনি সুন্দর ভাবে ব্যবসায় চালাতে পারবেন এবার পন্যের কথায় আসা যাক এক এক পন্য এক এক স্থানে এক এক রকম চাহিদা সুতরাং লাভ ও ভিন্ন হবে তবে সাধারনত গ্রামে
বর্তমানে এভারেজে এখন কিছু পন্য উৎপাদন করলে লাভ বেশি বলে শুনা যাচ্ছে
১। বিদেশী মাল্টা, ডুমুর, মাশরুম, ড্রাগন, খেজুর, লিচু, ডাব, মৌসুমী ফল।
২। টার্কির জাত ও বিভিন্ন ভালো মানের পোল্টির জাতের লালন পালন।
৩। ঢাকার আশেপাশে হলে সবজি ও ফুল ব্যবসায় লাভবান হতে পারেন।
৪। আর মুদি দোকান বা ফার্মিসির ওষুধ বেচাকেনা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই এটার লাভ লোকসান বুঝতে হলে এলাকায় কি পরিমান দোকান ও কি পন্যের চাহিদা এবং দোকান চলবে কিনা সেটার উপর লাভের পরিমান নির্ভর করছে৷
১থেকে ৩ নম্বর পয়েন্ট পর্যন্ত যা আছে সেসব এর ব্যাপারে আরো ভালো করে জেনে ২-৩ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষন নিয়ে নামলে ঠিকমতন পরিচর্যা করতে পারলে অনেক লাভবান হবেন অনেক বেসরকারি প্রশিক্ষন ও যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন দেয়৷ এবং এই সবের জন্য সহজ শর্তে ঋন ও দেয় ব্যাংক গুলো। আশা করি সামগ্রিক বিষয়ে বুঝে শুনে এগুলো ভালো হবে৷
lionahmed publisher