Answered 3 years ago
উচ্চচাপের বায়ুপূর্ণ টায়ারগুলিকে আমরা সাধারনত নুম্যাটিক টায়ার বলে জানি । ১৮৪৫ সালে রর্বাট থমসন প্রথম নুম্যাটিক টায়ার উদ্ভাবন করেন ।তার আগে পর্যন্ত রবারের তৈরী নিরেট টায়ার সাইকেল বা ঘোড়ায় টানা গাড়িতে ব্যাবহারিত হত।
নুম্যাটিক টায়ারের প্রধান চারটি বৈশিষ্ট্য একে রবারের তৈরী নিরেট টায়ারের তুলনায় উত্কৃষ্ট হিসাবে উপস্হাপিত করেছে।
১] একটা টায়ার তৈরীতে যত বেশী পরিমান রাবার ব্যাবহারিত হবে সেই টায়ারের রোলিং রেজিস্ট্যান্স তত বেশী হবে ।আবার টায়ারের রোলিং রেজিস্ট্যান্স যত বেশী হবে গাড়ির জ্বালানি খরচ তত বেশী হবে। নিরেট টায়ার তৈরীতে বেশী রবার লাগে তাই এর রোলিং রেজিস্ট্যান্স বেশী হয় এবং গাড়ির জ্বালানি খরচ বাড়িয়ে দেই।
২] রিম এবং টায়ারের সম্মিলিত ওজন যত কম হবে গাড়ির র্স্টাটিং এবং স্টপিং পারফরম্যান্স তত ভালো হবে অর্থাত্ গাড়ি র্স্টার্ট দেওয়ার পর খুব কম সময়ে উচ্চগতি অর্জন করতে পারবে আবার ব্রেক করলে গাড়ি দ্রুত থামবে।টায়ারের ভেতর বাতাসের ওজনের পরিমান নগন্য তাই নুম্যাটিক টায়ার হাল্কা এবং এই টায়ার লাগানো গাড়ির র্স্টাটিং এব স্টপিং পারফরম্যান্স খুব ভালো।
গাড়ির জ্বালানি খরচ বা সাশ্রয়ে চাকা খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে।( চাকা বলতে রিম এবং টায়ারকে একত্রে বোঝোনো হচ্ছে) চাকার সামগ্রিক ওজন বন্টন একটা গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার ।চাকার বেশীরভাগ ওজন যদি কেন্দ্রর কাছে ঘনীভুত থাকে তাহলে সেই চাকা গাড়ির জ্বালানি সাশ্রায় করবে । আবার বেশীরভাগ ওজন চাকার পরিসীমা বরাবর ঘনীভুত থাকলে গাড়ির জ্বালানি খরচ বাড়বে। টায়ার নিরেট হলে গাড়ির জ্বালানি খরচ বাড়বে।
3] একটা চাকাকে স্হির অবস্হায় রেখে এক টুকরো লোহার রডকে দুই হাতে ধরে যদি টায়ারের উপর চাপ দেন তাহলে খু অল্প পরিমান বল প্রয়োগ করেই টায়ারটাকে বেশকিছুটা পরিমান দাবাতে পারবেন (vertical deflection of tire) কিন্তু দুই হাতের মধ্যে একটা ইট বা আয়তকার লোহার পাত দিয়ে টায়ারের উপর বল প্রয়োগকরে টায়ারটাকে দাবাতে চান তাহলে আগের পরিমান দাবাতে অনেকটা বল প্রয়োগ করতে হচ্ছে।এই দুই পরিমান বলের অনুপাত একটা টায়ারের রাইড কোএফিসিন্ট নির্ধারন করে ।টায়ারের রাইড কোএফিসিয়েন্ট ভালো হলে আরোহীদের যাত্রা আরামদায়ক হয়। রবারের তৈরী নিরেট টায়ার মোটেই আরামদায়ক নয়।
4] নুম্যাটিক টায়ার অমসৃন বা এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় গাড়ির জ্বালানি খরচ বাচায়। পদার্থবিদ্যার প্রাথমিক ধারনা নিচের ছবি থেকে ব্যাপারটা বুঝতে সাহায্য করবে।
Islamuddin publisher