Answered 3 years ago
এই উত্তরটা আমি তাত্ত্বিক ভাবে শেখার আগে প্রয়োগিক ভাবে অনুভব করেছি। সেই গল্পটা আগে বলি।
শীতের সকাল, কলেজের প্রথমবর্ষ, অর্গানিক কেমিস্ট্রির ল্যাব, সেই প্রথম প্রথম জৈব পদার্থের গলনাঙ্ক হাতে কলমে বের করতে শিখেছি। একটা সালফিউরিক অ্যাসিড বাথের মধ্যে কৈশিক নলে জৈব পদার্থ ঢুকিয়ে নিমজ্জিত করে পরীক্ষা করতে হত।
পাশের এক বান্ধবী বেখেয়ালে অ্যাসিড বাথে ভুল করে বেশি তাপ দেওয়ার ফলে কাঁচ থেকে ক্রাকিং শব্দ শুনেই তার পেট চেপে পিছনে একটা ধাক্কা দি, তখনই অ্যাসিড বাথটি ফেটে গরম সালফিউরিক অ্যাসিড টেবিলের উপরে পরে। অ্যাপ্রণ পড়েছিলাম তাই গায়ে সেভাবে না লাগলেও কিছুটা ছিটকে আমার জিন্সের প্যান্টে লাগে। গায়ে কিছু না হলেও একটু ভয় পেয়ে যাই সাথে সাথে জল দিয়েদি। খানিক পরে যখন শুকালো তখন ছুটি হয়ে গেছে, তখন টুক করে প্যান্ট এর ওই অংশটি খসে পড়লো !
ভাগ্যিস আমি শেষ ব্যাক্তি হিসাবে ল্যাব থেকে বেরোছিলাম। একদম দেখতেই তড়িৎ গতিতে ব্যাগটা সামনে নিয়ে হাতল গুলো বড় করে নিয়ে ঝুলিয়ে অপ্রস্তুত হতে হতে বেঁচেছি। একদম সটান বাইকে করে বাড়ি। বাড়িতে যখন পরের দিন মা অ্যাপ্রণটা কেঁচে দিয়েছিল, সেটা নিচের দিকের বেশ কিছু জায়গা ঝুরঝুর করে গুঁড়ো হয়ে পরে ফুটো হয়ে গেল।
গল্পটা বলার কারণ হয়ত বুঝে গেছেন। এখানে তীব্র বলতে আপনি বুঝুন বেশি বিক্রিয়াশিল হয়ে ওঠে কারণ গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডে জল যোগ করে লঘু করলে অ্যাসিডের অনুগুলি বিয়োজিত হয়ে বেশি বেশি হাইড্রোজেন আয়ন তৈরি করে।
তার জন্য কারখানায় যে স্টিলের পাত্রে সালফিউরিক অ্যাসিড রাখা হয় সেখানে খেয়াল রাখা হয় যাতে ৯৫% নিচে তার কনসেন্ট্রেশন না কমে নাহলে আয়রনের সাথে বিক্রিয়া করে সালফেট লবণ তৈরি করবে ও পাত্রটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে।
এই উত্তরে একটা জিনিষ মনে রাখতে হবে, প্রশ্নের তীব্রতা অর্থ ভয়ঙ্করতা নয় বিক্রিয়াশিলোট। নাহলে হয় কোরা বাংলাতে উত্তর পড়ে আপনি ১০০ মিলিলিটার গাঢ় অ্যাসিড নিলেন আরেকটি পাত্রে ৫ লিটার জলে ১০০মিলি লিটার অ্যাসিড ঢেলে জানলেন ,লঘু অ্যাসিড টি বেশি ক্ষতিকর আর গাঢ় টি নয়, দিয়ে হাত দিয়ে পরীক্ষা করতে গেলেন তাহলে কিন্তু ওখানেই ভুল করবেন। লঘু করলে একই পরিমাণ অ্যাসিডের বিক্রিয়ার পোটেনশিয়াল বেড়ে গেল। আশা করি বুঝলেন।
suriyaprema publisher