খালি পায়ে মাটিতে হাঁটার কোনো উপকারিতা আছে কি? মাঝে মাঝে মাটিতে হাঁটা জরুরি কি?

1 Answers   12.6 K

Answered 3 years ago

প্রকৃতির সব উপাদান আমাদের কোনো না কোনো কাজে লাগে।প্রাকৃতিক জিনিস কখনো মানুষ বা প্রাণীর ক্ষতি করে না। তেমনই মাটিতে খালি পায়ে হাঁটারও অনেক ভালো দিক রয়েছে।


আপনি যদি সকালে খালি পায়ে হাঁটেন তবে এর জন্য আপনার শারীর ও মনে অনেক উন্নতি সাধন হবে। বিজ্ঞান এ নিয়ে অনেক তথ্য প্রকাশ করেছে।


সকালে খালি পায়ে হাঁটার অনেক ধরনের উপকারিতা আছে যা সারাক্ষন জুতা পড়ে থাকার জন্য গুরুত্ব দেয়া আমাদের মূল ধারার সমাজ ব্যবস্থাকে অনেক টা ছাপিয়ে যায়। খালি পায়ে হাটার কিছু উপকারিতা এখানে তুলে ধরছি-


১. সকালে খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করে হাঁটলে তা সরাসরি মাটি থেকে দেহে নেগেটিভ ইলেকট্রন শোষণ করে যা দেহের ফ্রি রেডিকেলস গুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এইসব ফ্রি রেডিকেলস আমাদের দেহের টিস্যু, কোষ সমূহকে ড্যামেজ করে ফেলে।


২. অনেক সময় ঘুমানোর বা শোয়ার ব্যাতিক্রম হলে শরীরের পেছন দিকে ব্যাথা হয় বা পায়ে জ্বালাপোড়া ভাব হতে পারে। সকালে সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাঁটলে উপযুক্ত রক্তসঞ্চালনের মাধ্যমে এই ব্যাথার উপশম হয়।


৩. খালি পায়ে হাঁটলে তা রক্তের শ্বেত কণিকার পরিমান কমিয়ে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে যা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।


৪. খালি পায়ে হাঁটা রক্তের লোহিত কণিকার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে কোষের রক্ত জমাট বাধা প্রতিহত হয় যা রক্তের ঘনত্ব কমায়। যেহেতু রক্তের উচ্চ ঘনত্ব সরাসরি হৃদরোগের ঝুঁকির সাথে জড়িত তাই খালি পায়ে হাঁটা উল্লেখযোগ্য ভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।


৫. বাইরে থেকে ঘুরে আসা স্বাভাবিকভাবেই তা মানসিক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে অর্থাৎ মন ভাল হয়ে যায়। আর যদি এই সময় শরীরকে সরাসরি মাটির সংস্পর্শে আনা যায় তাহলে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ স্বাভাবিক ভাবেই বেশি কমে আসে। মাটি সবসময় একটি নেগেটিভ চার্জ বহন করে আর চারদিকে নিয়মিত সব তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের সংস্পর্শের কারনে আমাদের শরীর সবসময় পজিটিভ চার্জ বহন করে।তাই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বেশি সময় মাটির সংস্পর্শে থাকা জরুরি।


৬. মানুষসহ সব প্রাণী জগত একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার ঘড়িকে অনুসরণ করে চলে একে সার্কাডিয়ান ক্লক বলে। খালি পায়ে হাঁটলে বা মাটির সংস্পর্শে থাকলে তা ঘুমের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং জৈবিক ঘড়িকে আবার নতুন উদ্যমে চালু করতে সাহায্য করে। পরিবেশ দূষণ, আলো, বাতাস, রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় আমাদের ঘুমের প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই মাটির সংস্পর্শে আসলে এর নেগেটিভ ইলেকট্রন সার্কাডিয়ান ক্লকের তাল এবং অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়াকে সাহায্য করতে পারে।


৭. সাধারণত মাইগ্রেইনের মাথা ব্যথা বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে বাড়তে পারে। তাই যদি তখন খালি পায়ে হাঁটা যায় বা শরীরকে মাটির সংস্পর্শে আনা যায় তাহলে তা দেহকে ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে অনেকটা মুক্ত করতে পারে। আর এভাবেই মাইগ্রেইনের মাথা ব্যথা দূর হতে পারে।


এইভাবে খালি পায়ে হাঁটাকে Grounding বা Earthing বলা হয়। শুধু সবুজ ঘাস ই নয়,পানি অথবা বালিতে হাঁটলেও আরো অনেক উপকার পাওয়া যায়।


Abu Huraira
abuhuraira
267 Points

Popular Questions