Answered 3 years ago
সাধারণত যারা বলে সৃষ্টিকর্তা নেই তাদের ধারণা হলো সবকিছু নিজে নিজে হয়েছে। তাহলে সেটি একটু প্র্যাকটিক্যালি দেখার চেষ্টা করি কিভাবে নিজে নিজে হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ আমরা ধরতে পারি মানুষ একটি বুদ্ধিমান সত্তা। আমাদের জ্ঞান বুদ্ধি আছে চিন্তা চেতনা আছে। আমরা লোহাকে মডিফাই করে জাহাজ অথবা প্লেনে রূপান্তরিত করতে পারি। কারন আমাদের বুদ্ধিমত্তা আছে কোনটা কিভাবে কাজ করে আমাদের সেই জ্ঞান আছে।
এখন নাস্তিকরা যেইভাবে চিন্তা করে আমরা একটু সেই ভাবে চিন্তা করে দেখি। আপনি কিছু লোহার খণ্ডকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে একত্র করে এক জায়গায় রেখে দিন এবং এটার এভোলিউশনের দিকে লক্ষ্য করুন এক বছর দুই বছর বা ১০০ বছর পরে এটি কি কোন প্লেন বা জাহাজে রূপান্তরিত হবে?
উত্তর না।
বরং ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে ।
একটা সময় এটির কোন চিহ্ন পাওয়া যাবে না পৃথিবীতে। একে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে এটির পেছনে কোন বুদ্ধিমান সত্তার হাত না থাকা। চারিদিকে লক্ষ্য করুন এমন অনেক উদাহরণ চোখে পড়বে।
তাহলে সামান্য একটা জাহাজের মত জিনিস যদি নিজে নিজে তৈরি না হতে পারে। তাহলে আপনার শরীরের বডি স্ট্রাকচার কিভাবে এতটা নিখুঁতভাবে তৈরি হয়েছে?
নিজের শরীরের দিকে খেয়াল করে দেখুন আপনি কতটা নিখুঁত। এগুলো কিভাবে নিজে নিজে তৈরি হয়? মানুষ অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ট্যাগ করে। বৃক্ষ ঠিক তার বিপরীত। প্রকৃতির মধ্যে এতটা সুন্দর সামঞ্জস্যপূর্ণ তাকে তৈরি করতে পারে? নিজে নিজে হয়ে যায়? এটা অসম্ভব।
এর পেছনে অবশ্যই একজন বুদ্ধিমান সত্তা আছেন। যিনি আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশি জ্ঞানী তার জ্ঞানের পরিধি আমাদের চিন্তা চেতনার বাহিরে।
Alia Khatun publisher