Answered 3 years ago
আমি অর্থশাস্ত্র থেকে কিছু উদাহরণ দেবঃ
১। বেঁচে থাকার যে জিনিস যত বেশি দরকারী, সেটা উৎপাদন করলে তত বেশি লোকসান হয়। শ্বাস না নিলে মাত্র কয়েক মিনিটেই মারা যাবেন, কিন্তু সাধারণ বাতাস বিক্রির দোকান খুলে দেখুন। পানি ছাড়া মাত্র কয়েকদিন বেঁচে থাকবেn, কিন্তু নদীর পানি বিক্রি করে কি লাভ করা যায় দেখুন। বিশ্বের সবচেয়ে লোকসানকারী খাত হলো কৃষিঃ খাদ্য অতিরিক্ত উৎপাদন করে কৃষকরা এতো ক্ষতির মুখে পড়েছে যে ১৭৫০ সালের আগে যেখানে শতকরা ৯৫% মানুষ গ্রামে থেকে হালচাষ করতো (উন্নত দেশগুলিতে), এখন সেখানে শতকরা ৫ ভাগের কম লোক থাকে। পৃথিবীর দরিদ্র লোকের ৯০% এর বেশি একটা কারণেই দরিদ্রঃ তারা খাদ্য উৎপাদন করে লোকসান দিয়ে বেচে।
২। দুনিয়ার ক্ষুধার্ত লোকের কমপক্ষে ৯২% ভাগই খাদ্য উৎপাদনকারী। জাতিসংঘের ঈফাদ পরিচালিত বিশ্বব্যাপী জরিপে ১৯৯২ সালে সেই অবিশাস্য তথ্য উঠে আসে।
৩ সবচেয়ে উত্তম টাকা হল যে টাকার কোন দৈহিক অস্তিত্ব নেই। সবচেয়ে খারাপ টাকা হলো সোনা বা রূপার চাক্তি। বিশ্বাস না হলে দেখুন আপনার কছে থেকে বিনা পরীক্ষায় কেউ সোনার টাকা নিতে রাজি হয় কিনা? প্রাণদন্ডের বিধান করেও সোনার টাকার নকল ঠেকানো যায়নিঃ সোনা খুলে নিয়ে সেখানে তামা ভরে দিত বলতে গেলে প্রতিটি লোক। স্যার আইজাক নিউটনের মত বড় মাপের বিজ্ঞানী টাঁকশাল কর্তা হিসাবে কমপক্ষে ২৮ ইংরেজের প্রাণদন্ডের আদেশে সই করেছিলেন, কারণ তারা সোনার টাকা জাল করতো।
৪। টাকা হলো এমন পণ্য যা সবাই আগ্রহের সাথে সত্যিকার মাল দিয়ে কিনে, কিন্তু খায় না, আবার অন্য মাল কেনার বিপরীতে বেচে দেয়ঃ টাকা উপার্জন করার একমাত্র উদ্দেশ্য এটা খরচ করা। এটা কত অস্বাভাবিক সেটা ভাবতে চিন্তা করে দেখুন আপনি কয়বার এক কাপ চা কিনেছেন সেটা বেচে দেবেন বলে? আপনি কয়বার জামা কিনেছেন এই জন্য যে এটা আবার বেচে দেবেন, কোন দিনও নিজে ব্যবহার করবেন না?
jannatulrabiya publisher