Answered 2 years ago
কলমিশাক আঁশজাতীয় একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমানে খাদ্য উপাদান রয়েছে। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে। ভর্তা কিংবা ভাজি করে তরকারী হিসেবে খাওয়া হয় এই কলমি শাক। কলমী শাকে রয়েছে অনেক ওষধী গুণ। এরমধ্যে বেশ কিছু গুণের কথা আজ আলোচনা করবো। দামে খুব স্বস্তা অথচ পুষ্টিগুণে অনন্য এমন খাবারের নামের তালিকায় উঠে আসবে কলমি শাকের নাম। কলমি শাক মূলত ভাজি অথবা ঝোল রান্না করে ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়। এছাড়া এই শাক দিয়ে পাকোড়া, বড়া ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়।
কলমি শাকের উপকারিতা :
1. কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এ শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ালে হাড় মজবুত হয়।
2.কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
3. কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
4. পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারি।
5. জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে।বাচ্চারা যদি মায়ের দুধ কম পায় সেইক্ষেত্রে কলমী শাক ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে মায়ের দুধ বাড়বে এবং তখন বাচ্চা দুধ পাবে।
6. নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।কোষ্ঠ কাঠিন্য হলে কলমী শাক তুলে বেটে এক পোয়া পরিমাণ রস করে আখের গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।আরোও পড়ুন
piyasahmed publisher