Answered 2 years ago
ওই "আশীর্বাদ" শব্দটির মাধ্যমে, প্রশ্নকারীর পরিচয় উকি দিচ্ছে। এটা উত্তর জানার জন্য প্রশ্ন নয়। প্রশ্নকারী, ঈমানদার মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে চায়। তবে, আল্লাহর রহমতে এই প্রশ্নের মাধ্যমে ঈমানদারদের সুবিধা হবে। তারা বিষয়টা আরো ভালো বুঝবে, ইনশা-আল্লাহ।
লেখাপড়া না করলে, শুধুমাত্র দোয়া করলে পাশ করা যাবে কিনা।
মনে রাখবেন, লেখাপড়া সবসময়ই পাশের গ্যারান্টি দেয় না। আপনি যেসব পড়েছেন, সেগুলোর বেশিরভাগই পরীক্ষায় আসেনি। পরীক্ষার হলে গিয়ে, অতিরিক্ত টেনশনে উত্তর ভুলে গেছেন। জানা উত্তরগুলো, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখে শেষ করতে পারলেন না। এমন অনেক ধরনের অঘটন ঘটতে পারে।
ঈমানদারদের যেটা বুঝতে হবে, সেটা হলো - আপনি বিসমিল্লাহ বলে আগুনে হাত দিলে, আপনার হাত অবশ্যই পুড়বে। আল্লাহ, আগুনকে সৃষ্টি করেছেন পোড়ানোর জন্য। আল্লাহ, আগুন থেকে রক্ষার উপায়ও দিয়েছেন - পানি। আপনি "বিসমিল্লাহ" বলে আগুনে হাত দিবেন না। "বিসমিল্লাহ" বলে, আগুনে পানি ঢালবেন।
পরীক্ষা জিনিসটা হলো - কতটুকু শিখেছেন, সেটা যাচাই করার উপায়। আপনার মস্তিষ্ক কতটুকু মনে রাখতে পেরেছে, সেটা যাচাই করার উপায়। মস্তিষ্কে স্মৃতি ধারণ করার একটাই উপায় - দেখতে, শুনতে ও জানতে হবে। লেখাপড়া করলে জানা যায়। অর্থাৎ, না পড়ে, "বিসমিল্লাহ" বলে পরীক্ষা দিলে পাশ হবে না। লেখাপড়া করে, "বিসমিল্লাহ" বলে পরীক্ষা দিতে হবে।
পাল্টা প্রশ্ন থাকবে - লেখাপড়া যখন করতেই হবে, তাহলে পরীক্ষায় "বিসমিল্লাহ" বলবো কেন? আল্লাহর নাম স্মরণ করবো কেন?
ছোট কারন : আপনি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন, যাতে কোন অঘটন ছাড়া, সফলভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারেন।
বড় কারণ : আপনি আল্লাহর দাস, বান্দা, গোলাম। প্রতি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করবেন।
rabiyakhatun publisher