ইয়োগার্ট এবং দইয়ের মধ্যে পার্থক্য কী, যদিও দই ইংরেজিতে 'কার্ড (Curd)' এবং 'ইয়োগার্ট (Yogurt)' এর বাংলা দই-ই?

1 Answers   6.6 K

Answered 3 years ago

ইংরেজিতে কার্ড (Curd) বা ইয়োগার্ট (Yogurt) শব্দটি লিখে গুগলে সার্চ দিলে দইয়ের ছবি আসে। কিংবা শব্দার্থ বের করতে গেলেও দই কথাটি আসে। কিন্তু কার্ড এবং ইয়োগার্টের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। মূলত আমরা দই বলতে যেটাকে চিনি সেটা আসলে কার্ড। এখানে এই দুই খাবারের পার্থক্য জেনে নিন।


প্রস্তুতিপর্বই আলাদা দুটো খাবারই তৈরি হয়ে দুধ দিয়ে। তবে কার্ড তৈরি হয়ে দুধে এসিডিক পদার্থ দিয়ে। যেমন- দুধে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে কার্ড তৈরি করা হয়। আর ইয়োগার্ট বানানো হয় দুধে ব্যাকটেরিয়ার গাঁজন প্রক্রিয়ায়। এটা বানাতে নির্দিষ্ট কালচার পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় যাতে থাকে ল্যাক্টোব্যাসিলাস বুলগারিকাস এবং স্ট্রেপ্টোককাস থার্মোফাইলস।


ইয়োগার্ট ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেভার দেওয়া হয় এর নানা ধরনের ফ্লেভার থাকে। আম, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, পিচ, কিউয়ি, ভ্যানিলা ইত্যাদি ফ্লেভারে মিলতে পারে। কিন্তু কার্ড সাধারণত একই ফ্লেভারের হয়ে থাকে। অর্থাৎ, ফ্লেভারের জন্যে এতে অন্য কিছু মেশানো হয় না।


পুষ্টি উপাদানগত ভিন্নতা ইয়োগার্ট ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। আরো আছে ফসফরাস এবং ভিটামিন বি১২। অন্যদিকে, কার্ডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬।


ইয়োগার্ট এবং টক দই এক জিনিস নয়, সামান্য হলেও এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। দইয়ের মতোই দুধের ফার্মেন্টেশন ঘটিয়ে প্রায় একই পদ্ধতিতে ইয়োগার্টও তৈরি করা হয়। এতে নানারকম সুগন্ধী থাকে বলে ইয়োগার্ট অনেকের পছন্দ। বিশেষ করে ইয়োগার্ট নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে বেশি প্রিয়। দই ও ইয়োগার্টের উপকারীতা মোটামুটি একই রকম। ইয়োগার্ট নানা ভাবে বিক্রি হয়ে থাকে। তবে বেশি রঙচঙে ইয়োগার্ট না খাওয়াই ভাল, তাতে ক্যালোরি বাড়ার ঝুঁকি থাকে। বরং ফ্যাট ফ্রি ও সুগার ফ্রি জাতীয় ইয়োগার্ট খাওয়া যেতে পারে। যাইহোক, টক দইয়ের উপকারীতা নিয়ে আলোচনা করছি।


দই প্রস্তুতির জন্য দুধের ফার্মেন্টেশনের ঘটানোর প্রয়োজন হয়। দই আমাদের বহু কাজে লাগে। একে যেমন আলাদা করে খাওয়া হয়, তেমনি রান্না করার সময়েও এর দরকার পড়ে। তরকারি বা মাংস তৈরিতে দইয়ের ব্যবহারের কথা আমাদের অনেকেরই জানা। অনেকে রূপচর্চাতেও দই ব্যবহার করেন। ত্বক ও চুল ভাল রাখতে দইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার সমর্থনে অনেক প্রমাণ রয়েছে।


দই হল প্রোবায়োটিক


টক দইতে দুটো উপকারী ব্যাকটিরিয়া থাকে। এদের একটির নাম ল্যাক্টো ব্যাসিলাস এবং অন্যটির নাম বিফিডো বা বাইফিডো ব্যাকটেরিয়া। এই দুই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরের পক্ষে ভাল, অর্থাৎ এরা উপকারী ব্যাকটিরিয়া। আমাদের শরীরে সংক্রমণ ঘটলে যে সব জীবানুর অনুপ্রবেশ ঘটে তাদের সঙ্গে এই দুই ব্যাকটেরিয়ার যুদ্ধ করে আমাদের সুরক্ষা দেয়। এই কারণেই দইকে প্রোবায়োটিক বলে ডাকা হয়। তাই খাদ্য হিসেবে দই অত্যন্ত গুণী। যাঁরা নিরামিশাষী তাঁদের কাছে দই তো অমৃত সমান। যাঁদের দুধ সহ্য হয় না, তাঁদের দই খেলে সাধারণত অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।


দইতে যা থাকে


টক দইতে সাধারণত যথেষ্ট পরিমানে প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম টক দইতে পাওয়া যায়-


• ৯-১০ গ্রাম (%) প্রোটিন


• ফ্যাট প্রায় ৫.৪ গ্রাম (%)


• ৪.৩ গ্রাম (%) পরিমান কার্বোহাইড্রেট


• বেশ কিছু ভিটামিন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বি ১২ এবং বি ২,


• মিনারেলের মধ্যে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক উল্লেখযোগ্য। গুরুত্বপূর্ণ হল দইয়ে থাকা পটাসিয়ামের পরিমান সোডিয়ামের চেয়ে বেশি।


Sinjon Khan
sinjonkhan
517 Points

Popular Questions