Answered 2 years ago
হিন্দু ধর্মে যেগুলো প্রচলিত ইসলামে সেগুলি প্রায় সব ই নিষিদ্ধ — এটা আংশিক সত্য। কিন্তু একমাত্র মূর্তি পূজা বাদ দিয়ে সবকটি ই ব্যতিক্রমী ভাবে ইসলামে ও আছে। যেমন ঈশ্বর বিষয়ক গজল জাতীয় গান, ডাবলি জাতীয় বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে গাওয়া বোধহয় নিষিদ্ধ নয়। ঈদের দিনে একদল দাসীকে গান গাইতে শুনেও হজরত মহম্মদ বাধা দেন নি এরকম পড়েছি। সংকল্প- কলেমা, উপাসনা-নামাজ, উপবাস-রোজা, তীর্থযাত্রা-হজ, দান-জাকাত এর মধ্যে কী কিছুই মিল নেই? দুই ধর্মের মধ্যে এত ব্যবধান ও সংঘর্ষ কেন? কারণ আমরা অতীতের সহনশীলতা ক্রমশ ত্যাগ করছি। আচ্ছা নিজামুদ্দিন আওলিয়া, মইনুদ্দিন চিসতি,সেলিম চিস্তি, সম্রাট আকবর, কবীর, লালন ফকির, নজরুল ইসলাম, খান আবদুল গফুর খান, গনিখান চৌধুরী, সেখ হাসিনা ওয়াজেদরা কী মুসলমান ছিলেন না? নাকি রামদাস, চৈতন্যদেব(চাঁদ কাজির সঙ্গে ধর্মালোচনা টা একবার পড়ে দেখবেন।), মোহনদাস করমচান্দ গান্ধী,চিত্তরঞ্জন দাশ, সুভাষ চন্দ্র বসু, জহরলাল নেহেরু এনারা হিন্দু ছিলেন না? যদি সুফি মতবাদ কে অনৈসলামিক বলা হয় আর ওয়াহাবী - ফরাইজি মতবাদ কে একমাত্র সঠিক ইসলাম বলা হয় এবং রামকৃষ্ণের "যত মত তত পথ" কে ভাঁড়ামো বা শ্রীকৃষ্ণের "যে যথা মাং প্রপদন্তে…" কে অপব্যাখ্যা করা হয়, তাহলে হিন্দু ও ইসলাম ধর্মকে সাংঘর্ষিক ই মনে হবে! তবে এই সঠিক ইসলামের অনুসারীদের ওইসব পীর ফকিরদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলমান হওয়া মুসলমানদের ইসলাম থেকে এবং বজরঙবলী বা শ্রীরামচন্দ্রের তথাকথিত ভক্ত হিন্দুদের বাদ দিয়ে বাকি সব হিন্দুদের সনাতন ধর্ম থেকে বহিষ্কার করতে হবে! সেই হিম্মত হবে তো? তাহলে বহিষ্কৃতরা ই দক্ষিণ এশিয়ায় সংখ্যা গরিষ্ঠ সম্প্রদায় হয়ে উঠবে। সুতরাং সাধু সাবধান!
hafizasultana publisher