Answered 3 years ago
হ্যাকিং অনেক বড় একটা বিষয়। এটাকে জানতে ও শিখতে হলে এর পূর্ববর্তী অনেক কিছু জেনে আসতে হয় ;এরপর হ্যাকিং এর কলাকৌশল শিখতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কেউ যখন হ্যাকিং শেখার জন্য কোন পরামর্শ চায়, আমরা হুট করে হ্যাকিং মেথডের নাম তো দূরে থাক শুধুমাত্র কয়েকটা টুলস আর অপারেটিং সিস্টেমেসের নাম ধরিয়ে দেই।
আর এখানে শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেতে হয়। তাই হ্যাকিং শেখার জন্য আপনার যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন তা হলো
কম্পিউটার সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান <হার্ডওয়্যার>। একটা কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে, তার বেসিক আর্কিটেকচার কি, লজিক গেট কীভাবে কাজ করে, আস্কি কোড কি, কে৷ আস্কি কোড ব্যবহার করা লাগে সে সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা।
অপারেটিং সিস্টেম কীভাবে কাজ করে তা জানা। এই ক্ষেত্রে আগে অপারেটিং সিস্টেমের থিওরেটিকাল বিষয় গুলো গভীরভাবে বোঝা প্রয়োজন। যেমন: কার্নেল কি এবং কীভাবে কাজ করে, টাস্ক স্কেডুলার কি, ফাইল সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ফাইল আদান-প্রদান ও সংরক্ষণ করে, এক্টিভ ডিরেক্টরি কি সেটা গভীরভাবে জানা দরকার না হলে প্রাক্টিকাল ফিল্ডে মারা খাবেন।
অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে থিওরেটিকাল বিষয়ে জ্ঞান থাকলে এবার লিনাক্স নিয়ে নেমে পড়ুন, কেননা লিনাক্সই একমাত্র কার্যকরী ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম (যদিও বিএসডি নামে একটা ইউনিক্সভিত্তিক ওএস আছে। সেটাতে না যাই।)। প্রাকটিকাল বিষয়গুলো বুঝতে সুবিধা হবে। এক্ষেত্রে আমি বলবো আপনি Debian-এর একদম স্টেবল ভার্সনটা ব্যবহার করুন। কোন একটা ঝামেলা ঘটলেও কার্নেল প্যানিক হয়ে আবার নতুন করে সেট-আপ দেওয়া লাগবে না।
এবার শুরু করতে হবে নেটওয়ার্কিং। একেবারে ব্যাসিক নেটওয়ার্কিং দিয়ে শুরু করতে হবে। এরপর ধাপে ধাপে ওএসআই মডেল, টিসিপি মডেল নিয়ে জানতে হবে। সাবনেটিং, মাস্কিং জানার পরে IPv4 ও IPv6 নিয়ে ধারনা থাকতে হবে। এরপর? নেটওয়ার্কিং অনেক বড় একটা বিষয় এটা জানার শেষ নেই তাই বাকি জিনিসগুলো পয়েন্ট আকারে দিলাম।
নেটওয়ার্ক প্রটোকল সমূহ
নেটওয়ার্ক ট্রাবলশুটিং
প্যাকেট ট্রেসিং ও রাউটিং
ভিপিএন
নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এন্ড লোড ব্যালেন্সিং
ডিএইচসিপি
এবার একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানা দরকারা কিন্তু একটা না, দুইটা ল্যাংগুয়েজ জানুন। প্রথমে সি এর এরপর পাইথন। সি-এর কীওয়ার্ড অনেক কম প্রোগ্রামিং এর বেসিকে বিষয় শেখার জন্য হলেও এর জুড়ি নেই সি আগে শিখুন এরপর পাইথন। পাইথনের অটেমেশন আর লাইব্রেরি নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। আপনি শুরু করলেই এর মাহাত্ম্য বুঝতে পারবেন।
অনেক কিছু তো জানা হলো এবার আপনি হ্যাকিং শিখতে পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন আর এইটা শিখো নতুন করে এমন উটকো ঝামেলায় জরাতে হবে না। এখন হ্যাকিং এর হাতেখড়ি শুরু। আপনি কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং এর বিভিন্ন ভালনারিবিলিটি সম্পর্কে লেখাপড়া করবেন ও জানবেন। এরপাশাপাশি বিভিন্ন হ্যাকিং টুলস নিয়ে কাজ শুরু করে দেবেন। এতে ভালনারেবিলিটিগুলো বাস্তব জীবনে কেমন করে হয় আর কীভাবে সেটাকে মেরামত কিংবা কাজে লাগতে হয় সেটা আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে স্থান করে নেবে।
এখন বিভিন্ন হ্যাকিং মেথড শেখার পালা। একে একে করে শিখবেন।
রেকনিং
স্ক্যানিং
থ্রেট ডিটেক্টিং
থেট এনালাইজিং
সোশ্যান ইঞ্জিনিয়ারিং
এক্সপ্লয়টিং
ওয়েব ইঞ্জেকশন এন্ড স্পুফিং
রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ক্রিপ্টোগ্রাফি
সাইবারনেটিক্স আইন ও নীতিমালা। এটা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা না থাকলে আপনাকে জেলে ভাত খাওয়া লাগতে পারে।
এইতো। এগুলো আপনাকে শিখতে হবে, যদি আপনি একেবারে সত্যিকার অর্থেই হ্যাকিং শিখতে চান। অকারণে শুধু শুধু স্ক্রিপ্ট কিডি হয়ে আসলে কোন লাভ নেই। আর সবসময় নতুন বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করবেন নিজেকে আপডেটেড রাখতে। দিন যাচ্ছে নতুন নতুন টেকনিক তৌরি হচ্ছে সেগুলোও জানতে হবে। জার্নিটা অনেক বড় কিন্তু Starting is half of battle কথাটা মনে রাখবেন।
rabiyakhatun publisher