Answered 2 years ago
পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করুন ঘরে বসেই। আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে সবারই টাকার দরকার। যদি টাকা না থাকে সেই ক্ষেত্রে পড়তে হয় নানা রকম সমস্যায়। আর সেই সমস্যা থেকে বাচতে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করা খুব দরকার। চলুন তাহলে জেনে নেই পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করুন ঘরে বসেই।
পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করুন
আমরা কলেজে বন্ধুদের সাথে আড্ডা সাথে চায়ের দোকানে একটু গল্প করতে গেলেও পকেটে কিছু টাকার প্রয়োজন হয়। আপনার পকেটের যদি টাকা পয়সা না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি হতাশায় ভুগবেন। তাই এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক শেয়ার করব এবং কিছু সহজ উপায়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আপনিও কিছু টাকা আয় করতে পারেন।
অনলাইনে ব্লগিং করতে পারেন
যদি মনে করেন উপরের কাজগুলো করার শেষ করে আপনার হাতে অনেক সময় রয়েছে। তাহলে সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। দেখবেন ছয় মাস বা এক বছর কষ্ট করার পর দেখবেন। এখান থেকেও আপনার কিছু টাকা আসতে শুরু করছে, যা সবসময় আসবে। মনে রাখবেন আপনি ব্লগিং করবেন একমাস আর টাকা ইনকাম করবেন আজীবন। বিশ্বাস না হলে কমেন্ট করবেন। বাকিটা আমি দেখিয়ে দিবো।
অনলাইনে ব্লগিং করতে গেলে আপনাকে বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না। ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় ১ টি ডোমেইন কিনে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন আথবা ফ্রীতে এবং হোস্টিং ৫০০ টাকা মোট ১৩০০-১৪০০ টাকার মধ্যে কমপ্লিট করা যাবে। তবে ফ্রীতে না করাই ভালো।
শিক্ষার্থী অবস্তায় টাকা কেন দরকার
আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। আমি জানি একটি ছেলে বা একটি মেয়ের প্রতিদিন কি পরিমাণ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় খরচ হয়। আপনি বাসা থেকে যখন বের হবেন দেখবেন আপনার পকেটে যদি টাকা না থাকে তখন আপনার বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করবে না। কারণ বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই আড্ডা দিতে মনে চায়। তাই একে বারে ফাঁকা পকেট নিয়ে বের হওয়া সম্ভব না।
জীবনে চলার পথে আমাদের অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। কারণ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের একটা হাত খরচ থাকে। বিভিন্ন সময় তাদেরকে টুরে যেতে হয়। তাই আপনার হাতে যদি টাকা না থাকে। তাহলে কিন্তু আপনি টুরে যেতে পারবেন না।
আমার দেখা মতে, যারা একেবারেই গরীব ঘরের সন্তান তাদের তো পড়াশোনার খরচ চালানো খুবই কষ্টকর। তাহলে চলুন সহজ উপায় গুলো কি কি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যে গুলো ব্যবহার করে আপনিও প্রতি মাসে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
প্রাইভেট পড়ানো শুরু করতে পারেন
আপনি প্রাইভেট পড়ানো শুরু করতে পারেন। যেমন আপনি প্রথম দিকে কিছু ছাত্র-ছাত্রী খুঁজে বের করবেন। এর পরে আপনি যখন ধীরে ধীরে তাদের কাছে পরিচিতি লাভ করবেন। তখন আপনার পড়ানোর কোয়ালিটি যদি ভাল হয় তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার কাছে ছাত্র-ছাত্রী বাড়তে থাকবে। একটা সময় দেখবেন এই প্রাইভেটের টাকা দিয়ে আপনি প্রতি মাসে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র-ছাত্রী খুব সহজে টাকা আয় করতে পারবে এই উপায় গুলো ব্যবহার করে। এ ভাবে করে আপনার দুই দিক লাভ হবে। যেমন আপনি যদি একটি স্টুডেন্ট কে প্রাইভেট পড়ান সে ক্ষেত্রে আপনার সেই ক্লাসের পড়া গুলো পুনরায় চর্চা হবে। আর অন্যটি হলো আপনি মাসে কিছু টাকা রোজগার করতে পারলেন।
ছোটখাটো একটা ব্যবসা করুন
আপনি বলতে পারেন আমি কি ব্যবসা করবো। ভাই আপনি চাইলে যে কোন ব্যবসা করতে পারেন। কারণ কোন ব্যবসাই ছোট না। এখন অনলাইনে অনেক ব্যবসা করা যায়। আপনি যদি একটু আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারেন। তাহলে বিনা পুজিতে ব্যবসা করতে পারবেন।
আপনি চাইলে যে কোনো ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসেই। এছাড়াও আপনি চাইলে ছোটখাটো একটি দোকান দিয়ে বসতে পারেন বিশেষ করে ফ্লেক্সিলোডের দোকান গুলোর মত চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন কলেজ পড়ুয়া ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী হয়ে থাকেন।
বিশেষ করে ছাত্র দের জন্যই কাজটি আপনি চাইলে আপনার বাড়ির পাশে অথবা কলেজের পাশে একটি দোকান নিতে পারেন। মনে রাখবেন কোন কাজই ছোট না।
মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে
আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় টাকা-পয়সা ইনকাম করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। কারণ আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন গ্রামে তখন নদীতে মাছ ধরতাম। প্রথমে আমাকে নিয়ে অনেকেই মজা করেছিল।
কিন্তু এক বছর পর ঢাকা এসে একটা দোকানে জব করি আর নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই বহন করি। আমার জানা মতে ক্লাস সেভেনের পর থেকে আমার পরিবার থেকে কোন টাকা নেইনি। যদিও আমার পড়াশোনার খরচ বহন করার মতো পরিবারে কেউ ছিলো না। পরবর্তীতে সে টাকা দিয়ে আল্লাহর রহমতে আজ আমি একটা ব্যবসা করি। একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি যদি আমার যাগায় হতেন তখন কি করতেন।
এসব কাজ করার কারনে আমাকে নিয়ে মানুষ অনেক হাসাহাসি করতো। তাদের কথা গুলো শুনে যদি আমি লজ্জায় এ কাজটি করা থেকে বিরত থাকতাম, তাহলে কিন্তু আমি আজ এ পযন্ত আসতে পারতাম না। তাই সর্বপ্রথম আপনার মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। মনে রাখবেন কোন কাজকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নাই।
Suroviislam publisher