Answered 2 years ago
আপনার এখন প্রধান কাজ মন দিয়ে লেখাপড়াটা করে যাওয়া। কোনো রকমে গোঁজামিল দিয়ে পাশ করে গেলে হবে না। ভালো রেজাল্ট করতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। যেন চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে না ঘুরতে হয়। সময় অপচয় করবেন না। প্রতিটা মুহুর্ত কাজে লাগাতে চেষ্টা করবেন। প্রতিদিন দুটা করে দৈনিক পত্রিকা পড়বেন। দুটা টিভি চ্যানেলের নিউজ শুনবেন। দুষ্ট, মন্দ লোকদের এড়িয়ে চলবেন। বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ২/৩ টা টিউশনি করবেন। নিজে ইনকাম করে নিজের হাত খরচ চালাবেন।
আপনি আপনার লক্ষ্য স্থির করুন। লক্ষ্যের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান। ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবে সময় কম দেবেন। সেই সময়টা গল্প, উপন্যস পড়বেন। পৃথিবীর সেরা সমস্ত বইগুলো একে একে পড়ে শেষ করবেন। সেরা মুভি গুলো দেখবেন। সময় সুযোগ হলে ভ্রমন করবেন। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন করতে হবে, এই কথাটা সব সময় মাথায় রাখবেন। পরিবারের প্রতি আপনার যা দায়িত্ব সেটা পালন করতেই হবে। মন থেকে সমস্ত প্রকার কুসংস্কার দূর করে ফেলুন। আধুনিক চিন্তা ভাবনা করুণ। বিজ্ঞান ও টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে- জ্ঞান। তাই জ্ঞান বাড়াতে থাকুন।
উন্নত বিশ্বের দিকে চোখ রাখুন। সেই সব দেশের মানুষদের সম্পর্কে জানুন। আপনার মতো নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমিও। ছোটবেলা থেকেই অভাবে অভাবে বড় হয়েছি। শুধু মাথায় একটাই চিন্তা রেখেছি, আমাকে ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে, বড় হতে হবে। পরিবারের অভাব দূর করতে হবে। প্রিয় মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। পরিবার এবং সমাজের প্রতি আমার যা দায়িত্ব তা আমাকে পালন করতে হবে। আমি দুনিয়াতে হেরে যেতে আসিনি। আমি দুনিয়াতে আমার জায়গা আমি নিজে করে নিবো। ক্ষুধা পেলে কেউ খাইয়ে দিবে না। অর্থ্যাত নিজেকেই সব কিছু অর্জন করে নিতে হবে।
আপনার তীব্র ইচ্ছাই আপনাকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে। মনে জিদ রাখুন, সাহস রাখুন। শুধু নিজেকে বুঝান আমাকে অন্য দশজন ছেলের মতো হলে চলবে না। আমাকে হতে হবে অসাধারন। আমি জীবনে সফল হবো। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থাকবো। অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা করাবো। ক্ষুধার্থ কে পেট ভরে খাওয়াবো। বেকারকে চাকরী দিবো। বড় একটা লাইব্রেরী করে দিবো, সেখানে অসংখ্য মানুষ বই পড়তে আসবে। মানুষ হয়ে জন্মেছেন, তাই মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
Rafid publisher