Answered 2 years ago
যে লোক পানিতে নামে। তার পা ভেজার সম্ভাবনা বেশি নাকি যে নাগচা নাগচা ভাবে চেষ্টা করে তার? কার প্রচেষ্টা অন্তর থেকে?
কিছু দিন আগে একটা প্রশ্ন পেয়েছিলাম প্রশ্নটি কপি করে সার্চ করতে পারেন।
আমার মা মানত করেছেন তিনি আমাকে মাদ্রাসায় পড়াবেন কিন্তু আমার মাদ্রাসায় পড়ার ইচ্ছা নেই। এখন কী করণীয়?
অনেকের মতে সাময়িক দুনিয়ার উদ্দেশ্য বিভিন্ন হতে পারে। তাদের শত চেষ্টা করেও বুঝানো যাবে না। তারা খেল তামাশায় মত্ত আছে। ভোগ বিলাসের উপকরণ অর্জনে প্রতিযোগিতায় আছে।
আপনি সত্য করে বলুন। আপনি কি সত্যিই পরকাল বিশ্বাস করেন? নিশ্চিত বিশ্বাস করলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। ওদের দিকে তাকাবেন না
আপনিও মরনশীল ওরাও মরণশীল ইন্নাকা মাইতুন ওয়া ইন্নাহুম মাইতুন
আপনার আমার আমাদের সবার আসল উদ্দেশে হল স্রষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা। এটা পৃথিবীতে মানুষ আগমনের সময় উক্তি, আমার বানানো নয়, কোন সাধারণ কথা নয়, মহা কোরানের কথা, যে কোরান সারা পৃথিবীময় সম্মানের সাথে তেলাওয়াত হয় প্রতি সেকেন্ডে
তোমরা সবাই নীচে নেমে যাও। অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা পৌঁছে, তবে যে ব্যক্তি অনুসরণ করবে আমার নির্দেশনা , নাই তাদের কোন ভয় , নাই তাদের কোন দুশ্চিন্তা [ সুরা বাকারা ২:৩৮]
আপনি দয়াময়ের নির্দেশনাকে ডিউটি হিসেবে গ্রহন করুন যদি নিশ্চিত বিশ্বাসী হন। অনেক নির্দেশনা আছে
স্থীতিশীল রাখবে নিজেকে তাদের সাথে যারা ডাকে তাদের মালিককে সকালসহ সন্ধায়। তারা চায় তার সন্তষ্টি। আর না ফিরাইও তোমার দু চোখ তাদের থেকে সাময়িক দুনিয়ার সৌন্দর্য চাইতে গিয়ে। তার করিও না অনুগত যার অন্তর অমনোযোগী মালিকের স্মরণে। যে অনুগত করে তার খেয়াল খুশির তার কাজ মাত্রা অতিক্রম করে। [সুরা কাহফ ১৮:২৮]
মসজিদের ভিতর, আনাছে কানাছে যেখানেই আপনার মালিকের আলোচনা হবে সেখানেই গুটি মেরে বসে পড়ুন। কোন চিন্তা নাই কোন ভয় নাই। ডিউটি চলাকালীন সময়ে বাড়তি আর কি কাজ থাকতে পারে?
মনে রাখবেন অন্যের কথায় জীবন চালাবেন না। শুধু আল্লাহর নির্দেশনায় মগ্ন থাকুন। যা হবার হউক। ওরা যা দালান বানায় বানাউক।
আর না কাজে আসবে তার তার মাল যখন ধ্বংস হবে। সুরা লাইল ৯২:১১
raju007 publisher