Answered 2 years ago
১। অভিভাবক এর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তাদের মানসিক ও সামাজিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি আপনার মানসিক অবস্থাও তাদের সামনে তুলে ধরবেন। এক্ষেত্রে, আবেগের বশবর্তী না হয়ে, যুক্তি ও কৌশলের মাধ্যমে আপনার মতামত উপস্থাপন করতে হবে।
২। আপনার অভিভাবক যদি আপনার সত্যতা পছন্দ না করে (অর্থাৎ আপনার জীবনে যা ঘটছে তা তাদের সাথে শেয়ার করলে তারা নেতিবাকভাবে আপনাকে খোটা দেয় বা জাজ করে), তাহলে সব কথা তাদের সাথে শেয়ার করার দরকার নেই। প্রয়োজনীয় কথা শেয়ার করুন আবার কিছু কথা গোপন রাখুন। জীবনে কিছু বিষয় আছে সবার সাথে সবসময় শেয়ার করা উচিত না। আবার কিছু বিষয় আছে আপনি অনেক আবেগের সাথে শেয়ার করলেন, কিন্তু যার সাথে বিষয়টি শেয়ার করলেন সে পাত্তাই দিলো না। আপনাকে বুঝতে হবে কার সাথে কখন কি শেয়ার করা উচিত আর উচিত না। যেমন, আপনি ফিজিক্সে ভালো করলেন, ১০০ তে ৯০+ পেলেন, তাহলে সেটা অভিভাবক ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। কিন্তু আপনি আরেক সাবজেক্টে ১০০ তে ৬০ পেলেন। তাহলে সেটা করো সাথে শেয়ার করা অনুচিত! নিজের দুর্বলতা অন্যদের থেকে ঢেকে চলতে শিখুন।
৩। নিজের চারিত্রিক বা পড়াশোনা জাতীয় দুর্বল জায়গা গুলো নিয়ে ভাবুন। তারপর উন্নতি করুন। আপনি যেসব জায়গায় অপটু বা সে বিষয়ে কম বোঝেন, ওটায় বেশি মনোযোগ দিন। এভাবে স্ব -উন্নয়ন এ লেগে থাকুন।
৪। আপনাকে যার সাথে তুলনা দেয়, অভিভাবক (বা যারা তুলনা করছে) তাদের সামনেই তার প্রশংসা করুন। তারা তুলনা যে বিষয়ে যেভাবে দিচ্ছে, আপনিও সে বিষয়ে একমত হয়েছেন এমন ভাব করুন। তারপর যার সাথে তুলনা করা হচ্ছে তার আরো গুণগান গাওয়া শুরু করুন। এটা হচ্ছে রিভার্স সাইকোলজি। আপনাকে ক্ষেপানোর জন্যে আপনাকে অন্যদের সাথে তুলনা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি না ক্ষেপেন, বরং উল্টো আনন্দিত হন, তাহলে যারা তুলনা করছে তারা সেই কাজটা আর করবে না। কারণ তাদের স্বার্থ সিদ্ধি হচ্ছে না।
৫। আপনি ভালো বা খারাপ যেরকম শিক্ষার্থীই হোন না কেন, আপনার পিছনে মানুষ লেগে থাকবেই। এটা হতে পারে নিজের পিতামাতা, বা আত্মীয় স্বজন, কিংবা বন্ধু বান্ধব। ভবিষ্যতে চাকুরী জীবনে ঢুকলে দেখবেন আপনার কিছু কলিগও আপনার পিছনে লেগে আছে। আপনাকে খোটা দিচ্ছে। আবার দেখবেন আপনার একসময়কার জিগরি দোস্ত একদিন আপনার ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাই মানুষকে পরিপূর্ন বিশ্বাস না করে এবং মানুষের অ্যাপ্রিসিয়েশন এর উপর নির্ভর না করে, নিজেকে নিজের মতো গড়ে তুলুন। আপনার মনের ভিতরে আপনি সন্তুষ্ট থাকলে, যত চেষ্টাই করুক আর কেউ আপনাকে জ্বালাতে পারবে না।
asbankhan publisher