Answered 3 years ago
আচ্ছা আপনার সন্তান কী কখনো আপনাকে বলেছে যে তার কোন ছেলে বা মেয়েকে ভালোলাগে এবং আপনি তাকে উপদেশ দিয়েছেন কি করতে এবং না করতে? যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে আপনাকে আপনার সন্তান কখনো এমন কথা বলবে না।
যদি কোন সন্তান তার পিতামাতাকে এমন কথা বলে তার মানে সেই সন্তান ভাবে তার পিতামাতা তাকে বোঝেনা, এবং তাকে ঠিক করে চেনে না। এক্ষেত্রে সন্তান মনে করে বাবা মা তাকে জন্ম দেওয়ার নামে তার কাছে "অন্যায্য" কিছু চাইছে প্রতিদান হিসেবে।
এক্ষেত্রে অভিভাবকেরও দোষ আছে। তিনি তার সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশতে পাড়েন নি। নয় অতিমাত্রায় শাসন করা হয়েছে, তার শিশু মনের চাহিদা, ইচ্ছাগুলোর তোয়াক্কা না করে নয়তোবা তাকে কোন শাসনই করা হয়েনি, সে যা চেয়েছে তাই পেয়েছে এবং করেছে।
একজন সন্তানের কাছে স্বাভাবিক ভাবে তার বাবা মা তার সব চেয়ে বড় আশা, ভরসা এবং সুরক্ষার জায়গা। সে যদি দেখে বাবা মায়ের কাছে কিছু জানতে গেলে বা বুঝতে গেলে তারা বিরক্ত হচ্ছে তাহলে ভবিষ্যতে তারা আর তাদের বাবা মায়ের কাছে কোন কিছু জানার বা বোঝার উদ্দেশ্য আসে না। তেমনি যদি সে কোন কিছু তার বাবা মাকে জানায় বা তাদের কাছে স্বীকার করে এবং সেক্ষেত্রে তার বাবা মা যদি সেই জানানো বা স্বীকারোক্তির মর্যাদা না দিতে পারে তবে ভবিষ্যতে তারা বাবা মাকে সেরকম বিষয় না জানিয়ে এড়িয়ে যাবে।
সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে তাদের জায়গায় রেখে ভাবুন কোন কথার কতটা গভীর প্রভাব সেই বাচ্চার উপর পরতে পারে। তার সুখ দুঃখের ভাগি হন। তাকে এই আস্বস দিন ভুল যে কেউ কোরতে পারে কিন্তু সেই ভুলকে চিনতে পেরে তার প্রায়াশ্চিত্ত করলে এবং ভবিষ্যতে তার পুনরাবৃত্তি না করলে ভুল আর ভুল থাকে না। যদি তার মনে হয়ে সে কোন ভুল করেছে তবে সে যেন নির্দ্বিধায় তাদের কাছে এসে তাদের উপদেশ নেয়। অভিভাবকের কখনোই যেন তাদের সন্তানদের উপর অধিকারবোধ না জন্মায়।
যদি এগুলো ছোট থেকে সন্তানের ক্ষেত্রে মেনে চলেন তবে দেখবেন সন্তান আপনাকে সব কিছু বলছে এবং তারা আপনার মতামত এবং উপদেশের যথেষ্ট সম্মান করছে। সন্তানের থেকে নিজের খামতি বা অর্থিক অবস্থা গোপন করবেন না তাহলে তারাও আপনার কাছে অন্যায্য চাহিদা করবে না। তখন যদি আপনি তাদের ভালোর জন্য কোন কিছু বলেন প্রত্যুত্তরে তারা এটা বলবে না
তোমাকে আমি বলিনি আমাকে জন্ম দিতে।
তাহলে যদি সন্তান এমন কথা আপনাকে বলে তবে এখানে কোন কিছুই বলার নেই। বলার এবং বোঝাবার দিন অনেক আগেই শেষ হয়েছে। খারপ লাগলেও এর জন্য আপনার দায় আছে এবং এটা আপনাকে স্বীকার করতে হবে। তাই সময় থাকতে এটা সুনিশ্চিত করুন যেন এমন কথা আপনাকে কোনো দিন সন্তানের কাছে শুনতে না হয়ে।
raselahmed publisher