আপনার মতে বিয়ে করার সঠিক বয়স কত?

1 Answers   3.2 K

Answered 2 years ago

‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সঙ্গে আমরা কতক যুবক ছিলাম; আর আমাদের কোন কিছু ছিল না। এই হালতে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন-

    হে যুবক সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করে এবং যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন সাওম পালন করে। কেননা, সাওম তার যৌনতাকে দমন করবে।

    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫০৬৬  
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

“হাদীসে কেবলমাত্র যুবক-যুবতীদের বিয়ে করতে বলার কারণ এই যে, বুড়োদের অপেক্ষা এ বয়সের লোকদের মধ্যেই বিয়ে করার প্রবণতা ও দাবী অনেক বেশী বর্তমান দেখা যায়।

যুবক-যুবতীদের বিয়ে যৌন সম্ভোগের পক্ষে খুবই স্বাদপূর্ণ হয়। মুখের গন্ধ খুবই মিষ্টি হয়, দাম্পত্য জীবন যাপন খুবই সুখকর হয়, পারস্পরিক কথাবার্তা খুবই আনন্দদায়ক হয়, দেখতে খুবই সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়, স্পর্শ খুব আরামদায়ক হয় এবং স্বামী বা স্ত্রী তার জুড়ির চরিত্রে এমন কতগুলো গুণ সৃষ্টি করতে পারে যা খুবই পছন্দনীয় হয়, আর এ বয়সের দাম্পত্য ব্যাপার প্রায়ই গোপন রাখা ভাল লাগে। যুবক বয়স যেহেতু যৌন সম্ভোগের জন্য মানুষকে উন্মুখ করে দেয়। এ কারণে তার দৃষ্টি যে কোন মেয়ের দিকে আকৃষ্ট হতে পারে এবং সে যৌন উচ্ছৃঙ্খলতায় পড়ে যেতে পারে। এজন্য রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ বয়সের ছেলেমেয়েকে বিয়ে করতে তাকীদ করেছেন এবং বলেছেনঃ বিয়ে করলে চোখ যৌন সুখের সন্ধানে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াবে না এবং বাহ্যত তার কোন ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এ কারণে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদিও কথা শুরু করেছেন যুবক মাত্রকেই সম্বোধন করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ের এ তাকীদকে নির্দিষ্ট করেছেন কেবল এমন সব যুবক-যুবতীদের জন্য যাদের বিয়ের সামর্থ্য আছে। আর যারা বিয়ের ব্যয় বহনের সঙ্গতি রাখে না তারা সওম পালন করবে। সওম পালন তাদের যৌন উত্তেজনা দমন করবে। কারণ পানাহারের মাত্রা কম হলে যৌন চাহিদা প্রদমিত হয়।

সুতরাং আপনি যখনি বিয়ের প্রয়োজন অনুভব করবেন এবং বিয়ের যাবতীয় ব্যয় বহনের সামর্থ্য রাখেন, তবে তখনি আপনি বিয়ের জন্য উপযুক্ত। এর জন্য ধরা বাধা কোনো বয়স নেই। আর হ্যাঁ, রিযিক কিন্তু উপর থেকে নির্ধারিত হয়। সুতরাং যে আল্লাহর উপর ভরসা ও বিশ্বাস রাখে, সে যেনো অহেতুক কথা থেকে বিরত থাকে।

    বিয়ে করলেন, বউ আপনার ঘরে আসল। তার জন্মেরও আগে মহান আল্লাহ তার রিযিক লিখেছেন। বিয়ের মাধ্যমে আপনি তার রিযিকের যিম্মাদারী নিয়েছেন। তার রিযিক আপনার হাত দিয়ে আসবে। অটোমেটিক আপনার ইনকাম বাড়বে। ইনকামে বরকত হবে। কেননা আপনার স্ত্রীর রিযিক আপনার হাতে আল্লাহ দিবেনই দিবেন। আর স্ত্রী যদি সৌভাগ্যবতী হয় তাহলে তো কথাই নাই। তার ভাগ্যের সাথে সাথে আপনার জীবনও বদলে যাবে

Raju  Ahmed
raju007
469 Points

Popular Questions