সবার আগে আমি আমার কন্যাকে জানাবো। আমার কন্যার বয়স আড়াই বছর। হয়তো সে কিছুই বুঝবে না। তবু আমি তাকে সবার আগে জানাবো। এরপর একে একে জানাবো তাদের যারা আমাকে চাকরীর লোভ দেখিয়েছে অথচ চাকরি দেয়নি। এরপর জানাবো তাদের যারা বলেছে সিভিটা মেইল করে পাঠিয়ে দাও। সিভি আমি পাঠিয়েছি এরপর তাদের আর কোনো খোঁজ পাইনি। ফোন দিয়েছি তাদের, ফোন ধরেনি। এদের অফিস বা বাসায় গিয়ে আমার চাকরীর কথা জানাবো।
যেসব বন্ধু আমার চাকরি নেই বলে আমাকে অপমান অবহেলা করেছে তাদের জানাবো। যেসব আত্মীয়স্বজন আকারে ইঙ্গিতে আমাকে কটু কথা বলেছে তাদের জানাবো। আমি সবাইকে বলব। সবাইকে জানাবো। ফার্মেগেট ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলব, দেখুন। আমাকে দেখুন। আমার চাকরি হয়েছে। হ্যাঁ অনেক দেরী হয়েছে। কিন্তু অবশেষে আমার চাকরী হয়েছে। এখন আমি অন্য সবার মতো সকালে আয়রন করা শার্ট প্যান্ট ইনকরে পড়ে, কালো সু পড়ে আমি অফিসে যাবো। সারাদিন অফিস করে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবো।
মাস শেষে যেদিন সেলারি পাবো সেদিন কন্যাকে নিয়ে যাবো সেই দোকানে। যে দোকান থেকে আমার কন্যা চোখের পানি ফেলে বের হয়েছিলো। কন্যা একটা পুতুল পছন্দ করেছিলো। খুব বেশি দাম না। কিন্তু কন্যাকে কিনে দিতে পারিনি। সেই দোকানে কন্যাকে নিয়ে গিয়ে বলব- তোমার যেক'টা পুতুল পছন্দ হয় নাও। এরপর কন্যাকে লাল জুতো কিনে দেবো। সে লাল জুতো পছন্দ করেছিল, কিনে দিতে পারিনি। কন্যা আপেল পছন্দ করে- তাকে সব রকমের আপেল কিনে দিবো।
sathikhatun publisher